শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: বানভাসি ঘাটাল। গ্রামের পর গ্রাম জলের নিচে। ডুবেছে বাড়িঘর, জমি। থানায় ঢুকেছে জল। সবমিলিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্গীন। নিজের সংসদীয় এলাকার দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে ফের রবিবার ঘাটালে এলেন অভিনেতা সাংসদ দেব। শুধু এলেন বললে ভুল বলা হয়, বোটে চেপে জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। নিজে হাতে পৌঁছে দেন ত্রাণ। স্বাভাবিকভাবেই এমন পরিস্থিতিতে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তা নিয়ে সাংসদের দাবি, এই সময় কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদ করে লাভ নেই। প্রক্রিয়া চলছে। পাঁচ বছর সময় লাগবে।
নিম্নচাপ আর ডিভিসির ছাড়া জলে প্লাবিত ঘাটাল। প্রতি বছরের মতো এবারও পুজোর মুখে ভেসেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল। বন্য়া পরিস্থিতির শুরুতেই ঘাটাল এসেছিলেন দেব। কী কী প্রয়োজন, তা দেখেশুনে যান। এদিন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে ঘাটাল আসেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খান এবং মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। বোটে চড়ে পরিদর্শন করেন এলাকা। এলাকার পরিস্থিতি দেখে সাংসদ বলেন, “মানুষ কষ্টের মধ্যে আছে। আমি জাভেদদাকে জানিয়েছিলাম। উনি ত্রাণের ব্যবস্থা করেন। কথা দিয়েছিলেন আজ আসবেন। এসেছেন।” প্রশ্ন করা হয় ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে।
প্রশ্নের জবাবে সাংসদ বলেন, “আমাদের দিদি কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে। ভোটের আগে আমাদের সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ হবে। এই একটা শর্তের জন্যই আমি রাজনীতিতে ফিরেছি।” তবে মাস্টারপ্ল্যান সম্পন্ন হতে যে সময় লাগবে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সাংসদ। বলেন, “যাঁরা চিৎকার করছেন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বলে, সেটা পাঁচ বছরের আগে সম্পূর্ণ হওয়া সম্ভব হয় না।”