ট্রলার দুর্ঘটনার জেরে আতঙ্কিত মৎসজীবীরা পেশা বদলের আর্জি অনেক পরিবারের
বর্তমান | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ট্রলার দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে আটজনের। এখনও নিখোঁজ একজন। সেই ঘটনার জেরে এখন শোকস্তব্ধ কাকদ্বীপের মৎস্যজীবীরা। ফের কি মাঝ সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবেন তাঁরা, এই নিয়েই এখন আশঙ্কায় রয়েছেন মৎস্যজীবী ও তাঁদের পরিবার। এই ঘটনার পরে অনেকেই এখন নতুন করে আর মাছ ধরতে যেতে চাইছেন না। আবার অনেক পরিবার তাঁদের বাড়ির ছেলে, স্বামী ও অন্যান্য সদস্যদের বিকল্প কাজ খোঁজার আর্জি জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়ার বিষয়ে এখন আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন মৎস্যজীবী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।
দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে রয়েছে একজন অল্পবয়সি মৎস্যজীবীও। সেই ঘটনা দেখে কাকদ্বীপ জুড়ে যেসব কমবয়সি মৎস্যজীবী রয়েছেন, তাঁদের বাড়ির লোকেরা আরও বেশি আতঙ্কিত। সেরকমই কয়েকজন বলেন, দু’পয়সা বেশি রোজগারের জন্য প্রাণ হাতে নিয়ে মাছ ধরতে যাওয়ার কী মানে! বাড়ির লোক সর্বক্ষণ চিন্তায় থাকে। তাই বিকল্প কাজ জোগাড় করার কথা বলছি তাঁদের। আরও কয়েকটি পরিবার জানিয়েছে, সামনে পুজো। তাই নতুন করে পরিবারকে দুশ্চিন্তার মধ্যে না রেখে অন্য কাজ জোগাড় করার কথা বলা হয়েছে। এমনকী এই পেশা ছেড়ে দেওয়ার কথাও তাঁদের বারে বারে বলা হচ্ছে।
কাকদ্বীপ ও নামখানা জুড়ে এখন সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার আতঙ্কই কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে মৎস্যজীবীদের। কিন্তু একই সঙ্গে পেটের তাগিদে প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই কটা দিন বাদে আবারও ইলিশ ও অন্যান্য মাছ ধরতে সমুদ্রে পাড়ি দেবেন তাঁরা। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, এত বড় একটা ঘটনার প্রভাব মৎস্যজীবী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মনে পড়েছে। কিছুদিন তাঁরা মাছ ধরতে হয়তো যাবেন না। অনেকের মনে আবার পেশা বদল করার কথাও ঘুরপাক খাচ্ছে। নিজস্ব চিত্র