• ডাক্তারদের আন্দোলনকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ দিলীপের
    এই সময় | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে ‘নাটক’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। দেড় মাস ধরে বাংলার মানুষ কেন কষ্ট পেল? সেই প্রশ্নও তুললেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ। এই আন্দোলন করে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় কী হাল ফিরবে, প্রশ্ন তোলেন তিনি।পূর্ব বর্ধমানের একটি কর্মসূচি থেকে দিলীপ বলেন, ‘এত নাটক করে কী লাভ হল? যাঁরা বদলি হলেন, তাঁরা প্রোমোশন পেলেন। মোমবাতি জ্বেলে, তালি দিয়ে কী লাভ হল?’ তাঁর কথায়, ‘পেছন থেকে এই আন্দোলনকে যারা চালাচ্ছে তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাঁচানোর জন্য এসব নাটক করছেন না তো? রাত জাগো, প্যান্ডেল বানাও, চলো রাতের বেলা একটু বাতি জ্বালিয়ে ছবি তুলে চলে আসি, এইজন্য কি দেড় মাস ধরে বাংলার মানুষ কষ্ট পেল?’

    আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর পর থেকেই কর্মবিরতি চালিয়ে এসেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গত শুক্রবার থেকে আংশিক কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারি হাসপাতালগুলিতে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে ডাক্তারদের তরফে বেশ কিছু দাবি রাখা হয়েছে। সেই দাবি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মেনে না নেওয়া হলে ফের আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।

    তবে, দিলীপের দাবি, ‘এত বড় শো হল, রোজ একবার রাস্তায় এসে নাটক করা, তালি দেওয়া, রেজাল্টটা কী হল? রেজাল্ট চাই এবং এর পরিবর্তন চাই। কেউ কি এর গ্যারান্টি দিতে পারবেন রাতে আবার কোনও মহিলা ডাক্তারের উপর এরকম হবে না?’ দিলীপের সংযোজন, ‘স্বাস্থ্য পরিষেবা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হাসপাতালগুলোতে, তার জবাব দিতে হবে না? এই আন্দোলন যে করা হলো মানুষকে ক্ষেপিয়ে তার কী লাভ হয়েছে? পুজো বন্ধ করে মানুষকে আহ্বান করা হচ্ছে কিন্তু মানুষ কী পেল এই আন্দোলন থেকে?’

    যদিও, দিলীপের এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করা হয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে। জুনিয়র ডাক্তারদের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘যেটুকু পরিবর্তন হয়েছে, সেটা এই আন্দোলনের জন্যই হয়েছে। মানুষের আন্দোলনকে নাটক বলা হলে আসলে সাধারণ মানুষকেই অপমান করা হচ্ছে।’ জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্ন, রাজনীতিকদের হাতেও তো অনেক ক্ষমতা রয়েছে, সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তাঁরা কী করেছেন? উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের এই আন্দোলন থেকে কোনও রাজনৈতিক দল যাতে ফায়দা তোলার চেষ্টা না করে, সে ব্যাপারে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন তাঁরা। কোনও পতাকা, ব্যানার ছাড়াই এই আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা।
  • Link to this news (এই সময়)