অর্ণব দাস, বারাসত: দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে গণ্ডগোলের মাঝেই মালিকের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে বিভাগে অভিযোগ করেছিলেন ভাড়াটিয়া। এর জেরে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দোকান মালিকের। সংসার চালাতে সমস্যায় পড়েন তিনি। আর এর মাঝেই শনিবার সকালে মৃত্যু হয় সেই ব্যক্তির। পরিবারের অভিযোগ, এই অনটন, মানসিক চাপ সামলাতে না পেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের নাম পার্থসারথী মিত্র। মধ্যমগ্রাম পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রানিপার্ক এলাকার বাসিন্দা। শনিবার ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পার্থবাবুর মৃত্যু হয়। এর পরই সরব হয়েছে পরিবার। মধ্যমগ্রাম থানাতেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
স্থানীয় এবং পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রাম থানার উল্টোদিকের মার্কেটে একটি দোকান রয়েছে পার্থর। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকার ভাড়া ও ১০ হাজার টাকা অগ্রিমের বিনিময়ে দোকান ভাড়া দিয়েছিলেন তিনি। বেসরকারি সংস্থার কর্মী হলেও দোকানের ভাড়ার টাকা সংসার চালানোর জন্য খুব প্রয়োজন ছিল পার্থর। পরিবারের অভিযোগ, প্রথম তিন মাস নিয়মিত ভাড়া দিলেও তার পর থেকে ভাড়া দিত না ভাড়াটিয়ারা। এ নিয়ে ভাড়াটিয়াদের বললে, তাঁরা পালটা দোকান মালিকের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ করেন। যার জেরে পার্থসারথীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায় বলেই দাবি পরিবারের। ফলে সংসার চালাতে সমস্যায় হচ্ছিল।
ভাড়াটিয়াদের কাছে একাধিকবার অনুরোধ করেও সুরাহা মেলেনি বলেই অভিযোগ পরিবারের। গোটা ঘটনার বিবরণ মধ্যমগ্রাম থানায় জানানো হয়েছিল। এই মানসিক টানাপোড়েন মধ্যে পার্থর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোকস্তব্ধ পরিবার এবং পরিচিতরা। মৃতের স্ত্রী শাশ্বতী মিত্র অভিযোগ তুলেছেন, “দোকানের ভাড়ার ৫ হাজার টাকা সংসার চালানোর জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। ভাড়ার টাকা নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে ভাড়াটিয়াদের মিথ্যে মামলা করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়ায় মানসিক টানাপোড়েন থেকেই স্বামীর হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে।”