কাজ থেকে তাড়িয়েছিল মালিক! ‘বদলা’ নিতে পুলিশেরই গাড়ি ছিনতাই যুবকের
প্রতিদিন | ০১ অক্টোবর ২০২৪
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: খোদ পুলিশেরই গাড়ি ছিনতাই। দুটি সার্ভিস রাইফেল-সহ গাড়ি নিয়ে পালায় দুষ্কৃতী। আসানসোলে ধরা পড়ে সেই গাড়ি। গ্রেপ্তার হয়েছে অভিযুক্তও। ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরেই গাড়ি ছিনতাই করা হয় বলে খবর।
সোমবার কাঁকসা থানার গাড়ি এলাকায় টহল দিচ্ছিল। গাড়িতে ছিলেন এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর, দুজন কনস্টেবল ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার। পুলিশের দাবি, গাড়ি বাঁশকোপা টোল প্লাজা পার হতেই এক পুলিশ কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর শুশ্রূষার জন্যে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। চাবি গাড়িতেই ছিল। দুটি সার্ভিস রাইফেলও ছিল।কেউ না থাকার সুযোগে পুলিশের গাড়িটি ছিনতাই করে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে আসানসোল অভিমুখে পালায় এক দুষ্কৃতী। পুলিশ কর্মীরা এসে দেখেন গাড়ি উধাও। তৎপরতার সঙ্গে সমস্ত থানাকে বিষয়টি জানানো হয়।
বিকেলে আসানসোল দক্ষিণ থানার হটন বাজার এলাকায় উদ্ধার হয় গাড়িটি। রমেশ মাইতু নামে এক ব্যক্তিকে সোমবার রাতে আসানসোল দক্ষিণ থানা গ্রেপ্তার করে কাঁকসা থানার হাতে তুলে দেয়। অভিযুক্ত তামিলনাড়ুর বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন রমেশ মাইতু। পুলিশ গাড়িটি ঠিকায় নেওয়া পর থেকেই মালিক তাঁকে বসিয়ে দিয়েছিলেন। সেই ক্ষোভেই গাড়ি ছিনতাই করে পালায় রমেশ। তবে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যাওয়ায় গাড়ি সেখানে রেখে পালিয়ে যান তিনি।
ওই গাড়িতে থাকা এএসআই মিন্টু মুখোপাধ্যায়, কনস্টেবল রামরতন কুমার, আমিরুল ইসলাম ও সিভিক ভলান্টিয়ার উদয় ঘোষকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা জানান, “পুলিশের গাড়ি ও সার্ভিস রাইফেল ছিনতাইয়ের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কী জন্যে গাড়ি ছিনতাই করেছিল তা জেরা করে জানার চেষ্টা চলছে।” এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত একজন ড্রাগ আসক্ত। ওই কারণেই তাঁকে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ক্ষোভেই সে গাড়ি নিয়ে পালায়। ধৃতকে বুধবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।