নির্ভুল আবাসের তালিকা চাই, কর্মীদের কড়া নির্দেশ পঞ্চায়েতমন্ত্রীর
প্রতিদিন | ০২ অক্টোবর ২০২৪
স্টাফ রিপোর্টার: আবাস যোজনার তালিকা তৈরিতে আরও সতর্ক রাজ্য। নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তালিকা তৈরি করতে এবার সরকারি কর্মীদের কাজের প্রতি আরও দায়বদ্ধ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আবাস যোজনার তালিকা তৈরিতে যাতে কেউ প্রভাবিত না করতে পারে, তার জন্য বেশ কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে। সরকারি কর্মীদেরও এ বিষয়ে করা হয়েছে সতর্ক।
রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “তালিকা নির্ভুল এবং ত্রুটিহীন করতে সরকারি কর্মীদের আরও দায়বদ্ধ থাকতে বলা হয়েছে। আরও সচেতনভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে।” নবান্নের পক্ষ থেকে জেলাগুলিকে দেওয়া হল একগুচ্ছ নির্দেশ। উপভোক্তা কারা, সঠিকভাবে জানতে একাধিক পর্যায়ে হবে এই যাচাই পর্ব।
তবে এবার তালিকা যাচাইয়ের কাজে যুক্ত করা হল বিভিন্ন থানার ওসিদের। এছাড়া প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে একটি করে গঠন করা হবে দল। যে দলে সরকারি স্তরের আধিকারিকরা থাকবেন। সরকারি এই দল পঞ্চায়েত থেকে তালিকা সংগ্রহ করে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাই করবে। একই সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাচাইয়ের পর্বে করতে হবে ভিডিওগ্রাফি। তালিকায় স্বচ্ছতা রাখতে গ্রামসভা ডেকে আলোচনা করতে হবে। প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েত, বিডিও অফিস, মহকুমা শাসকের অফিসে উপভোক্তাদের তালিকা প্রকাশ্য স্থানে দিয়ে দিতে হবে। তালিকা প্রকাশের পরেও তিনটি স্তরে হবে ফের যাচাই পর্ব। বিডিও, মহকুমা শাসক জেলাশাসকরা ইচ্ছামতো যে কোনও নাম নিয়ে যাচাই করতে যাবেন।
এমনকী, রাজ্যস্তরের আধিকারিকরাও ইচ্ছা করলে খুশিমতো বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে তালিকায় থাকা নামে সত্যতা যাচাই করতে পারেন। উপভোক্তাদের তৈরির তালিকা নিয়ে কারও আপত্তি থাকলে তা সরাসরি জানানো যাবে। এজন্য প্রত্যেকটি বিডিও অফিসে অভিযোগ পত্র জানানোর জন্য বাক্স রাখা হবে। অভিযোগ পাওয়ামাত্রই পাঁচটি কাজের দিনের মধ্যেই তা যাচাই করে সঠিক ভাবে ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে কী ব্যবস্থা নেওয়া হল, তাও অভিযোগকারীকে জানিয়ে দিতে হবে।
প্রসঙ্গত উপভোক্তাদের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর তা প্রকাশ্যে দিয়ে দিতে হবে। তার পর সেই তালিকা দেখে যে কেউ অভিযোগ জানাতে পারেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। নবান্ন জানিয়েছে, যদি তালিকায় থাকা একটি ভুয়ো নাম পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে ধরে নেওয়া হবে তা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে কাজে গাফিলতির জন্য শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়াও হতে পারে।