সংবাদদাতা, কাঁথি: রামনগরে দু’দিন ধরে নিখোঁজ থাকা এক গৃহবধূর দেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। রবিবার সকালে রামনগর বাজার সংলগ্ন দক্ষিণ বাসুলিপাট এলাকায় নয়ানজুলি থেকে উদ্ধার হয় স্বাগতা মাইতির(২৫) দেহ। তাঁর বাড়ি রামনগরের সৈয়দপুর এলাকায়। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। তারপর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেন। পুলিস স্বাগতার খোঁজে তল্লাশি শুরু করে। তবে তাঁর কোনও হদিশ মিলছিল না। এদিন সৈয়দপুর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ বাসুলিপাট গ্রামে নয়ানজুলিতে তাঁকে ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পুলিস জানতে পারে, বছরচারেক আগে সৈয়দপুরের যীশু মাইতির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। বছরখানেক আগে টাইফয়েডে আক্রান্ত হন স্বাগতা। পরে সুস্থ হলেও কয়েকদিন ধরে শরীর ঠিক যাচ্ছিল না। ওইদিন বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর স্বাগতার খোঁজ পাননি পরিবারের লোকজন। তবে বাড়ি থেকে কেন এতটা দূরে গেলেন স্বাগতা, নয়ানজুলিতে কখন, কীভাবে পড়েছেন, এরকম নানা প্রশ্ন উঠেছে। পুলিস সব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে। তাছাড়া দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি পরিবারের লোকজনের। মৃতার এক আত্মীয় সুমন দাস বলেন, স্বাগতার মৃত্যু নিয়ে আমাদের নানা প্রশ্ন এবং সন্দেহ রয়েছে। কোনওভাবে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হতে পারে। কিংবা বাইরে থেকে কেউ শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে এখানে দেহ ফেলে দিয়ে যেতেও পারে। আমরা পুলিসকে ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছি। এবিষয়ে ওসি অমিত দেব বলেন, কীভাবে ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে, তা আমরা জানার চেষ্টা চালাচ্ছি।