নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: এবারের পুজোর ছুটিতে অনেকেই পকেটসাধ্য বাজেটের মধ্যে দার্জিলিংয়ে হোটেল খুঁজছিলেন। আবার অনেকেই চাইছিলেন লাটাগুড়ি কিংবা চিলাপাতার জঙ্গলে কয়েকটি দিন কাটাতে। ভ্রমণ পিপাসুদের উত্তরবঙ্গের অফবিট ডেস্টিনেশনের খোঁজ দিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেদার প্রচার চালাচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি পর্যটন সংস্থা ও ট্যুর অপারেটররা। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সাইবার অপরাধীরা। ফেক সাইট বা ফেক পেজ বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে সস্তায় প্যাকেজ ট্যুরের সুযোগ। ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো সাইটে কোনওভাবেই যোগাযোগ না করার পরামর্শ দিয়েছে হাওড়া সিটি পুলিসের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। সরাসরি ম্যানুয়াল পদ্ধতি অবলম্বন করতে বলছে পুলিস। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সস্তায় প্যাকেজ ট্যুরের টোপ দিয়ে প্রতারণার জন্য পুজোর এই সময়কে বেছে নিয়েছে বেশ কিছু অসাধু চক্র। কখনও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো পেজ বানিয়ে, আবার কখনও কোনও ট্রাভেল এজেন্সির ওয়েবসাইট হ্যাক করে প্রচার চালাচ্ছে তারা। উত্তরবঙ্গের পাহাড় ও ডুয়ার্সের কিছু অফবিট ডেস্টিনেশনে স্বল্প মূল্যে থাকা, খাওয়া, যাতায়াতের সুবিধা সহ প্যাকেজের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। পুজোর মরশুমে উত্তরবঙ্গগামী ট্রেনগুলির সংরক্ষিত কামরায় টিকিটের আকাল চলছে। সেখানে পর্যটকদের যাতে কনফার্ম টিকিট পাওয়ার ঝক্কি পোহাতে না হয়, তারও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। পরিবার নিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুরে আসার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছেন না অনেকেই। এরপর ফাঁদে পা দিয়ে নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল আইডি সহ যাবতীয় তথ্য দিয়ে ঢুকে পড়ছেন ওয়েবসাইটে। সেখানে অগ্রিম বুকিং করতে গিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বস্ব খুইয়ে ফেলছেন। হাওড়া সিটি পুলিসের সাইবার ক্রাইমের এক আধিকারিক বলেন, সব থেকে ভালো হল ম্যানুয়াল পন্থা অবলম্বন করা। অর্থাৎ, সরাসরি হোটেল বা ট্রাভেল এজেন্টের সঙ্গে কথা বলে তাদের অফার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া।