পরনের গেঞ্জি ছিঁড়ে টানতে টানতে রাস্তায় নিয়ে যায়। ফেলে মারতে থাকে। পরে তাঁকে জিরাট বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উদ্ধার করে বলাগড় ব্লক হাসপাতাল জিরাট আহমেদপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গভীর রাতে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বিজেপি হুগলি জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের অভিযোগ, তৃণমূলের স্থানীয় লোকজন সমীরকে বেধড়ক মারধর করে। তাঁকে অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে একটি বিবাদকে কেন্দ্র করে একটি সালিশি নিয়ে কয়েকদিন আগে সমীরের সঙ্গে এলাকার তৃণমূল সদস্যের ঝামেলা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে বলাগড় থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা।
কেন থানায় গিয়েছিলেন সেই কারণেই তাঁকে মারধর করা হয় বলে দাবি। যদিও তৃণমূলের জিরাট অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় রায়ের দাবি, সমীর হালদার সব দল করেছেন। বিবাদের জেরে এই ঘটনা। বিজেপি নেতা তাঁর দোকানে পার্টি অফিস খুলেছেন। সেখানে অনেক মানুষের আনাগোনা। মহিলাদের কটূক্তি করাও চলে। বাসিন্দাদের অনেক অভিযোগ আছে। ওনার ব্যবহারে মানুষ বিরক্ত। তবে কাউকে মারধর করা কাম্য নয়। সিসিটিভি ফুটেজে গোটা ঘটনার ছবি ধরা পড়ে। এই ঘটনায় বলাগড় থানায় অভিযোগ হলে একজনকে আটক করেছে।