সুমন করাতি, হুগলি: সালিশি সভায় পুরনো বিবাদের জের। বলাগড়ে বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মারধর তৃণমূলের। আহত বিজেপি নেতা সমীর হালদারকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাসক শিবিরের নেতা। তবে রবিবার রাতের ওই ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ল টেনেহিঁচড়ে মারধরের ছবি।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, নিজের বাড়ির নিচে দোকানে বসেছিলেন বিজেপির কিষাণ মোর্চার বলাগড় ব্লক সভাপতি সমীর হালদার। অভিযোগ, কয়েকজন মহিলা ও পুরুষ তাকে চেয়ার থেকে টেনে নামিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে। পরনের গেঞ্জি ছিঁড়ে দেওয়া হয়। টানতে টানতে তাঁকে রাস্তায় নিয়ে যায়। রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরে তাঁকে জিরাট বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে উদ্ধার করে বলাগড় ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গভীর রাতে চুঁচুড়া ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে এলাকায় একটি সালিশি সভা বসে। তা নিয়ে কয়েকদিন আগে বিজেপি নেতা সমীরের সঙ্গে এলাকার তৃণমূল সদস্যের ঝামেলা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে বলাগড় থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা। কেন থানায় গিয়েছিল সে কারণে তাকে মারধর করা হয় বলেই দাবি।
বিজেপি হুগলি জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের অভিযোগ,তৃণমূলের স্থানীয় লোকজন সমীরকে বেধড়ক মারধর করে। তাকে অচৈতন্য অবস্থায় রাস্তা থেকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলেও তাঁর জ্ঞান ফেরেনি। যদিও জিরাট অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় রায়ের দাবি,”সমীর হালদার সব দল করেছেন। বিজেপি নেতা তাঁর দোকানে দলীয় কার্যালয় খুলেছেন। সেখানে বহু মানুষের আনাগোনা। মহিলাদের কটূক্তি করা হয়। তার জেরে এই ঘটনা হতে পারে। তবে কাউকে মারধর করা কাম্য নয়। তার জন্য আইন আছে।” বলাগড় থানার পুলিশ এই ঘটনায় একজনকে আটক করেছে।