রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে উত্তেজনা! কর্তব্যরত নার্সিং স্টাফ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের হেনস্তা
বর্তমান | ০৮ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: চিকিৎসাধীন এক বৃদ্ধার মৃত্যুকে ঘিরে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছড়াল উত্তেজনা। অভিযোগ গতকাল, সোমবার রাতে ওই বৃদ্ধার মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে তর্কাতর্কি বাঁধে। ওয়ার্ডের মধ্যেই ঝামেলা শুরু হয়। সেখানে কর্তব্যরত নার্সিং স্টাফ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা দুর্ব্যবহার ও হেনস্তার শিকার হন। তৈরি হয় চাঞ্চল্য। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ রাতেই লিখিত অভিযোগ জানান পুলিসে। দুর্ব্যবহারের অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল মধ্যরাতেই পুলিস একজনকে আটক করে রায়গঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, গত রবিবার বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েতের ভিটিহার কুমারজোলের বাসিন্দা নূর নেহার খাতুনকে(৬২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ মেডিক্যালের চার তলায় মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শারীরিক পরিস্থিতি ভালো না থাকায়, বৃদ্ধার ভর্তির সময়েই ‘হাই রিস্ক কনসেন্টে স্বাক্ষর’ করে পরিবারের সদস্যরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বৃদ্ধার সারা শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়েছিল। একসময় মাল্টি অর্গান ফেলিয়রও হয়। তারপরেই গতকাল, সোমবার রাতেই চিকিৎসা চলাকালীন আচমকাই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। এরপরই ফিমেল ওয়ার্ডের মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত। আচমকা ১০ থেকে ১৫ জন ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে। দুর্ব্যবহার ও হেনস্তার মুখে পড়েন ওয়ার্ডের কর্তব্যরত নার্সিং স্টাফরা। মৃতার পরিবারের দাবি, আমাদের রোগীর স্থিতিশীল অবস্থা ছিল। আচমকা কি করে মারা গেলে সে ব্যাপারে আমরা জানতে গেলে সমস্যা তৈরি হয়। বচসা হয়। মেডিক্যাল কলেজের ভারপ্রাপ্ত সুপার বিদ্যুৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গতকাল এক রোগীর মৃত্যু হয়। তারপরই আচমকা ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল ফিমেল ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে অশান্তি পাকায়। প্রথমে গালিগালাজ। পরে ওয়ার্ডের নার্সিং স্টাফদেরকে ধাক্কাধাক্কি করে। গেটে পুলিসি প্রহরা, নিরাপত্তা রক্ষীরা থাকলেও একদল মানুষ ৪ তলায় কীভাবে উঠে যায় তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে আমাদের। এই ঘটনায় শুধু হাসপাতালের চিকিৎসক-নার্সরা নয়, আমিও আতঙ্কে ভুগছি। এক জুনিয়ার চিকিৎসক বলেন, আর জি করের ঘটনার পর আমাদের প্রতিবাদ হয়েছিল। তারপর পুলিস প্রশাসন থেকে নানা আশ্বাস পাই। কিন্তু এখনও প্রচুর ফাঁক-ফোকর রয়েছে। যেগুলো দেখার প্রয়োজন আছে। রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে।