সংবাদদাতা, কাঁথি: সৈকতশহর দীঘা ও রামনগরের বেশ কিছু পুজোমণ্ডপে এবার দেখা যাবে বাহারি থিম। দীঘায় কিছু ক্লাব ও হোটেলমালিকদের সংগঠনের পুজো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। রামনগর এলাকার পুজোও কম যায় না। এসব পুজোয় দীঘা ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকরাও শামিল হন। পুজো দেওয়ার সঙ্গে তাঁরা নানা অনুষ্ঠানেও অংশ নেন।
এর আগে ভার্চুয়ালি ওল্ড দীঘা সর্বজনীন দুর্গা ও লক্ষ্মীপুজোর উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিউ দীঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের দুর্গোৎসবের উদ্বোধন করেছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক। দীঘা সর্বজনীন যুব দুর্গোৎসব কমিটির শারদোৎসবের উদ্বোধনও হয়েছে। প্রতিটি পুজোয় মণ্ডপ ও প্রতিমার পাশাপাশি আলোর বাহার নজর কেড়েছে।
দীঘা লাগোয়া অলঙ্কারপুরের ডব্লুবিএস লোটাস ক্লাবের থিম ‘ছোটবেলার পুতুল খেলা, মনে পড়ে সব স্মৃতির মেলা’। বাংলার বিভিন্ন জেলায় হরেকরকম পুতুল তৈরি হয়। তার মধ্যে অনেক পুতুল হারিয়ে যেতে বসেছে। প্রাচীন এই শিল্পকলাকে মণ্ডপে তুলে ধরছে এই ক্লাব। রাজ্যের ১২ধরনের প্রায় তিন হাজার পুতুল দিয়ে ৬০ফুট উঁচু মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়েছে। দীঘা দেবেন্দ্রলাল জগবন্ধু শিক্ষাসদনের মাঠে স্থানীয় শিক্ষাসদন শারদীয়া সেবা সঙ্ঘ পুজো আয়োজন করে। ৭০তম বর্ষে তারা কাল্পনিক মন্দিরের আদলে উঁচু মণ্ডপ তৈরি করছে। সাবেকি প্রতিমা থাকছে। ওল্ড দীঘায় সারদা রামকৃষ্ণ আশ্রমের পুজোয় ভক্তি ও নিষ্ঠাই মূল আকর্ষণ। বেলুড় মঠের সমস্ত নিয়ম মেনে দীর্ঘ ২৫বছর ধরে এখানে পুজো হয়ে আসছে বলে আশ্রমের সম্পাদক স্বামী নিত্যবোধানন্দজী জানান। এছাড়া, ওল্ড দীঘা টাউন ফ্রেন্ডস ক্লাব, দীঘা বর্ডার সর্বজনীন, ব্যারিস্টার কলোনি, ওল্ড দীঘায় সি-হক হোটেলের দুর্গাপুজো রয়েছে।রামনগরে আনন্দমঠ ক্লাবের থিম ‘মেঘমল্লারে মাতৃ আরাধনা’। শরতের নীল আকাশের থিমে সুদৃশ্য মণ্ডপ হয়েছে। মণ্ডপ তৈরিতে ফোম, বিভিন্ন মূর্তি ও প্রতিকৃতি ব্যবহৃত হয়েছে। সাবেকি ঘরানার মাতৃমূর্তি থাকছে। পুজো উপলক্ষে আন্তঃস্কুল ফুটবল প্রতিযোগিতা, কৃতী ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ঠিকরাহাট জাগরণ সঙ্ঘের পুজোয় বরাবরই সম্প্রীতির ছোঁয়া থাকে। এখানে মন্দির ও মসজিদ পাশাপাশি রয়েছে। হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ দুর্গোৎসবে শামিল হন। কয়েকবছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিকরাহাটের নামকরণ করেছিলেন ‘সম্প্রীতিনগর’। ৮১তম বর্ষের পুজো উপলক্ষে একগুচ্ছ অনুষ্ঠান ও কর্মসূচি হবে বলে জাগরণ সঙ্ঘের কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন দত্ত জানান। মঙ্গলবার পুজোর উদ্বোধন হয়েছে। রামনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির মন্দিরের আদলে তৈরি উঁচু মণ্ডপ দর্শনার্থীদের নজর কাড়ছে। এছাড়া বাড়সোলেমানপুর বিদ্যাসাগর রিক্রিয়েশন ক্লাব, দেউলিহাট সর্বজনীন সহ রামনগরে বেশ কয়েকটি পুজোর আয়োজন হয়েছে।