নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বছরভর লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জমে। সেই টাকা জমিয়েই দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন পাড়ার মহিলারা। শহরজুড়ে ঝাঁ চকচকে পুজো, নজরকাড়া থিমের ভিড়ে পাড়া কালচার বাঁচিয়ে রাখতে সচেষ্ট টালিগঞ্জ আজাদগড় ৫ নম্বর ওয়ার্ড সঙ্ঘ ভারতী। এবার তাদের উপরি পাওনা সরকারি অনুদান। এই প্রথম তারা মোটা টাকা অনুদান পাওয়ায় খুশি উদ্যোক্তারা। দ্বিগুণ হয়েছে উৎসাহ।
কর্পোরেট জীবনের জাঁতাকলের মধ্যেও এখনও বঙ্গজীবনের পাড়া কালচারের পুরনো রীতি চাক্ষুস করা যাবে এই পুজোয়। ১৯৫০ সালের ক্লাব। পুজো কমিটির তরফে মনোজিৎ মালাকার বলেন, অনেক আগে দুর্গাপুজো হতো এখানে। কিন্তু, মাঝে কয়েক দশক পুজো বন্ধ হয়ে যায়। ২০২১ সালে পাড়ার মহিলারা মিলে ফের পুজো শুরু করেন। এবছর তারা এই প্রথম রাজ্য সরকারের অনুদান পেয়েছে। ক্লাব কর্তৃপক্ষ সেই টাকার একটি অংশ দিয়ে এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে। পুজোর অন্যতম কর্ত্রী মানসী ভট্টাচার্য বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাওয়ার পর ৫০-৬০ জন মহিলা তা জমিয়ে নতুন করে এই পুজো শুরু করেন। তিন বছরের মাথায় এবার আমরা সরকারি অনুদান পাওয়ায় উৎসাহ আরও বেড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, ক্লাবের সভাপতি বিদ্যুৎ সরকার (বাপি) এই বলেন, সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এলাকার সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। আর জি করের মতো ঘটনা যাতে আর না ঘটে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঠিক পথেই তদন্ত করছিল। সেটা সিবিআইয়ের চার্জশিটেই স্পষ্ট। সরকারের বদনাম করার জন্য অনেকে চেষ্টা করেছিলেন। তিলোত্তমার ধর্ষণের বিচার আমরাও চাই। মহিলাদের বস্ত্র বিতরণের আয়োজন করা হয়েছে।