ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি কর কাণ্ডের পর থেকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে দশ দফা দাবিতে চলছে অনশন চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের। তাতে শামিল সিনিয়রদের একাংশ। আর এবার এই আন্দোলনকে পূর্ণ সমর্থন জানাতে ৪৮ ঘণ্টার আংশিক কর্মবিরতির ডাক দিলেন শহরের তিরিশটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। জরুরি বিভাগ ছাড়া বন্ধ থাকবে সমস্ত পরিষেবা। শনিবার একথা ঘোষণা করা হয়েছে তাঁদের তরফে। সোমবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে কলকাতার বিভিন্ন নামী বেসরকারি হাসপাতালে।
এদিন বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, ”১৪ ই অক্টোবর সোমবার থেকে বেসরকারী হাসপাতাল বা ক্লিনিকে কর্মরত বেশীরভাগ ডাক্তাররাই এমারজেন্সি ছাড়া বাকি পরিষেবা থেকে বিরত থাকবেন। এই আন্দোলন শুধু ডাক্তারদের নয়, প্রথমদিন থেকে সমাজের সব স্তরের মানুষ এই ঘটনার প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেছেন। তাই তাদের তথা রোগীস্বার্থের দিকে আমাদের নজর থাকবে ও এমারজেন্সি পরিষেবা কোনওভাবে যেন ব্যহত না হয়, সেদিকে আমাদের খেয়াল থাকবে। তাও যে সকল রোগীদের এর জন্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে, তাদের কাছে আমরা আগাম ক্ষমাপ্রার্থী।”
জুনিয়র চিকিৎসকদের আমরণ অনশনের প্রসঙ্গ তুলে তাঁদের আরও বক্তব্য, ”আজ আমাদের সহকর্মীদের আমরণ অনশনের অষ্টম দিন। ১১ জন অনশনকারীদের মধ্যে ইতিমধ্যে দুজন আইসিইউ-তে ভর্তি। আমরা তাঁদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। আমরা বিশ্বাস করি, তাদের দশ দফা দাবি যুক্তিসঙ্গত। এই দাবিতে একদিকে যেমন অভয়ার খুন ও ধর্ষণের ন্যায়বিচারের দাবি আছে, সেরকম ভবিষ্যতে যেন এরকম ঘটনা আর না ঘটে তারও প্রতিকার আছে। এছাড়া রোগী ও সাধারণ মানুষের স্বার্থের দিকেও নজর রাখা হয়েছে এতে। আমরা মনে করছি, সরকার থেকে সদর্থক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বেশীরভাগ ডাক্তারই উদ্বিগ্ন, হতাশ ও ভীত। এই মানসিক পরিস্থিতিতে আমাদের পক্ষে দৈনন্দিন কাজ করা খুব মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।”
বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ”আমরা আপাতত ৪৮ ঘন্টা নন-এমারজেন্সি কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, তবে আমাদের নজর সরকারের পদক্ষেপের দিকে থাকবে। যদি সদর্থক পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাই, তাহলে আমরা কাজে ফিরতে পারব। তা না হলে এই কর্মবিরতিকে দীর্ঘায়িত করতে হবে, যা আমরা কেউই চাই না।”