ডিসেম্বরেই রেলপথে কলকাতা থেকে সরাসরি কাশ্মীর যাত্রা সুযোগ বঙ্গবাসীর
বর্তমান | ১৪ অক্টোবর ২০২৪
রাজু চক্রবর্তী, কলকাতা: পুজো শেষ এবার আসন্ন শীতের মরশুমে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন। ভ্রমন পিপাসু বঙ্গবাসীর জন্য সুখবর। পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতের ‘সুইজারল্যান্ড’ হিসেবে খ্যাত কাশ্মীর যাত্রা আরও সহজতর হচ্ছে। রেল মন্ত্রক সূত্রের দাবি, চলতি বছর ডিসেম্বরেই কলকাতা থেকে শ্রীনগরের মধ্যে রেলপথ চালু হয়ে যাবে। সৌজন্যে বিশ্বের সবচেয়ে উচুঁ চেনাব রেল ব্রিজ। দেশীয় প্রযুক্তিতে নয়া রেল পথে ভূস্বর্গকে জুড়তে তৈরি হচ্ছে এই অত্যাধুনিক ব্রিজ। সূত্রের দাবি, চলতি বছরের শেষে কিংবা আগামী বছর জানুয়ারির মধ্যেই এই রেলপথ চালু হয়ে যাবে। বাংলা-কাশ্মীর যোগাযোগে এই চেনাব ব্রিজের গুরুত্বকে একলাফে অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে। যার জেরে পূর্ব ভারতের সঙ্গে ওই অংশের যোগযোগ ব্যবস্থা আরও সুগম হবে বলে মনে করছেন রেল কর্তারা। ভারতরে দুই ঐতিহ্যশীল শহরের সাংস্কৃতিক ও আর্থিক সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা পাবে। বাংলার পর্যটকরা কাশ্মীবাসীর জন্য রসগোল্লার হাঁড়ি নিয়ে গিয়ে উপহার দেবেন। পাশাপাশি কাশ্মীরের সুস্বাদু আপেল নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবেন।
বিশ্বের সবচেয়ে উচুঁ এই রেল ব্রিজের ভিত তৈরিতে ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতার চরম উৎকর্ষতায় ছোঁয়া গিয়েছে। একটি ফুবল মাঠের অর্ধেক অংশ জুড়ে তৈরি হয়েছে ব্রিজের কংক্রিটের ভিত। যেখানে ২৮ হাজার মেট্রিক টন স্টিল ব্যবহার করা হয়েছে। ভারতীয় স্থপতিদের কারিগরি সহায়তায় হিমালয়ান টানেলিং মেথডে পাহাড়ের কোলে এই ব্রিজ তৈরি হয়েছে। নয়া এই রেলপথে বন্দে ভারত মেট্রোর মাধ্যমে জম্মু ও শ্রীনগরের দূরত্ব মাত্র ৩ থেকে ৪ ঘণ্টায় নেমে আসবে। চেনাব ব্রিজের তৈরির ক্ষেত্রে নিরাপত্তার সার্বিক দিকগুলি মাথায় রাখা হয়েছে। সেই সূত্রেই ১২০ বছরের স্থিতিস্থাপকতা যুক্ত বয়সকাল যুক্ত হয়েছে বিশ্বের এই সর্ব্বোচ্চে এই রেল ব্রিজে বক্তব্য রেল কর্তাদের। একই সঙ্গে রিক্টার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৮ পর্যন্ত উঠলেও চিনাব ব্রিজ অটুট থাকবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি গোটা যাত্রাপথে যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তায় পুলিস, আরপিএফ ও অন্যান্য নিরাপত্তা এজেন্সিগুলি সমন্বয় করে কাজ করবে। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং চিনাব ব্রিজের কাজের ধারাবাহিক অগ্রগতি দেখভাল করেন। ভারত-চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও উল্লখযোগ্য ভূমিকা নেবে এই ব্রিজ। কারণ, আপদকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত রেলপথে যাবতীয় রসদ পৌঁছে দেওয়া যাবে।