কিউআর কোড থেকে মিলবে তথ্য, চন্দননগরে গাছের ‘পরিচয় পত্র’ তৈরি করছে পুরসভা
বর্তমান | ১৪ অক্টোবর ২০২৪
অভিজিৎ চৌধুরি, চুঁচুড়া: চন্দননগরে গাছের গায়ে ঝোলানো হবে ‘পরিচয় পত্র’। কোনও কাঠবোর্ড বা টিনের বোর্ড দিয়ে পরিচয় পত্র তৈরি করা হবে না। আধুনিক সময়, তাই ভাবনাও আধুনিক। গাছের পরিচয় থাকবে কিউআর কোডে। তা স্ক্যান করলেই মিলবে গাছের পরিচয়। চন্দননগর পুরসভার বায়োডায়ভার্সিটি বোর্ড ওই পরিকল্পনা নিয়েছে। তা অনুমোদনও করে দিয়েছেন পুরকর্তৃপক্ষ। পুজো পার হলেই শহরের গাছের গায়ে ওই আধুনিক পরিচয় পত্র ঝোলানোর কাজ শুরু হবে। মূলত, সাবেক ফরাসি কলোনির নাগরিক ও নতুন প্রজন্মকে গাছ নিয়ে আগ্রহী করতেই ওই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পুরকর্তাদের দাবি, তাতে পরিবেশ সচেতনতাও তৈরি হবে।
চন্দননগরের কানাইলাল বিদ্যামন্দিরের ফরাসি বিভাগের প্রধান শিক্ষক সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনিই পুরসভার বায়োডায়ভার্সিটি বোর্ডের সম্পাদক। সোমনাথবাবু বলেন, সম্প্রতি আমরা কিউআর কোডের মাধ্যমে গাছের ‘পরিচয় পত্র’ তৈরির পরিকল্পনা করেছিলাম। পুরসভার বোর্ড তা অনুমোদন ও আর্থিক বরাদ্দ করে দিয়েছে। একটি গাছ শহরে আছে অথচ তার পরিচয় অনেকক্ষেত্রেই মানুষ জানেন না। মোবাইলের স্ক্যানার ব্যবহার করে এবার থেকে তা সকলেই জানতে পারবেন। আমাদের বিশ্বাস, গাছের পরিচয় জানতে গিয়ে তাঁরা গাছের মূল্য বুঝবেন। পরিবেশে সেই গাছটির অবদান জানতে পারলে পরিবেশ সচেতনতার বিকাশ হবে। পুরসভার মেয়র তথা প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাম চক্রবর্তী বলেন, আধুনিক সময়ের জন্য আধুনিক ভাবনা ভেবেছে আমাদের বায়োডায়ভার্সিটি বোর্ড। একটি ঐতিহ্যবাহী শহরের জন্য উপযুক্ত পরিকল্পনা করা হয়েছে। তাই তা অনুমোদনও করে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত ওই পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হবে।
পুরসভার বায়োডায়ভার্সিটি বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত পাতালবাড়ি থেকে রানিঘাট পর্যন্ত এলাকাকে প্রাথমিক ভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গঙ্গারধারের ওই এলাকায় প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। স্ট্রান্ডরোডে প্রতিদিন সন্ধ্যেয় মানুষ ঘুরতে আসেন। পাশাপাশি, সেখানে নতুন ও পুরাতন প্রচুর গাছ আছে। সেই গাছগুলিকেই কিউআর কোডের পরিচয় পত্রে সাজানো হবে। তবে কোনওভাবে গাছে পেরেক ঠোকা হবে না। সোমনাথবাবু বলেন, আমরা মজবুত কোনও সূতো বা তারের মাধ্যমে গাছের গায়ে কিউআর কোড ঝুলিয়ে দেব। তা স্ক্যান করলেই গাছটির সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য হাতের মুঠোয় চলে আসবে।