পুজো কার্নিভালে জন সমাগম, চার জেলার উৎসাহ ছিল তুঙ্গে
বর্তমান | ১৫ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: উৎসবের রেশ মিশল কার্নিভালে। মানুষের সমাগমে সোমবার জেলায় জেলায় অনুষ্ঠিত হল দুর্গা কার্নিভাল। আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় মন্ত্রী ও প্রশাসনের কর্তারা। দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলিতে কার্নিভাল পালিত হয়েছে মহা সমারোহে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি ব্লক অফিসের সামনে ৯টি ব্লকের ১৫টি পুজো কমিটি অংশ নেয় কার্নিভালে। মন্দিরবাজার, মগরাহাট -১, মথুরাপুর ১ ও ২ নম্বর, কাকদ্বীপ, কুলপি, সাগর, নামখানা ও পাথরপ্রতিমা ব্লকের পুজো কমিটি অংশ নেয়। বারুইপুর মহকুমার কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয় নরেন্দ্রপুরের কামালগাজি নেতাজি স্পোর্টস ময়দানে। ১১টি পুজো কমিটি অংশ নেয়। ক্যানিং বাস টার্মিনাসে জয়নগর লোকসভার কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। ১৯টি পুজো কমিটি অংশ নিয়েছিল। ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলার কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয় চড়িয়াল সেতুর কাছে। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল।
উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে কার্নিভালে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ১৭টি পুজো কমিটি যোগ দেয়। বারাকপুরে লালকুঠি মোড় থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়ে চিড়িয়া মোড় হয়ে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত যায়। পুজো কর্তাদের হাতে স্মারক তুলে দেন সৌগত রায়, রাজ চক্রবর্তী, নির্মল ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পার্থ ভৌমিকরা। কার্নিভাল ঘিরে দুপুর থেকে বি টি রোড এবং এস এন ব্যানার্জি রোডে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে গত বছর সোদপুরে কার্নিভাল আয়োজিত হলেও এ বছর হয়নি। বারাসত ও বনগাঁতেও অনুষ্ঠিত হয় দুর্গাপুজো কার্নিভাল। বারাসতের চাঁপাডালি মোড়ে ১৪টি কমিটি অংশ নেয়। হাজির ছিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী, জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী, পুলিস সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া। কার্নিভালের জন্য বারাসতের ডাকবাংলো মোড়, যশোর রোডের হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকা এবং টাকি রোডের কাজিপাড়ার পর শহরমুখী কোনও গাড়ি ঢুকতে দেয়নি পুলিস। বনগাঁ ত্রিকোণ পার্কে আয়োজিত কার্নিভালে ১০টি পুজো কমিটি অংশ নেয়। অশোকনগরে বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর উদ্যোগে কার্নিভাল হয়।
হাওড়ার কার্নিভালে অংশ নিয়েছিল শহরের ১৮টি পুজো কমিটি। গঙ্গার ঘাট সংলগ্ন গোটা রাস্তায় অতিরিক্ত পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়। শিবপুর রোড, ফোরশোর রোড সহ সংলগ্ন রাস্তাগুলিতেও কার্নিভাল চলাকালীন যান নিয়ন্ত্রণ করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়, সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। হুগলির শ্রীরামপুরে স্নানপিঁড়ি মাঠ থেকে বটতলা পর্যন্ত শোভাযাত্রা হয়েছে। ১৭টি ক্লাব সেই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দুই সাংসদ, জেলাশাসক, অসীমা পাত্র সহ একঝাঁক বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। এই প্রথম শ্রীরামপুরে কার্নিভাল আয়োজিত হল। উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভার চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যেগে আয়োজিত কার্নিভালে ১৫টি পুজো কমিটি অংশ নেয়। পরে দামোদরে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী পুলক রায়। উলুবেড়িয়া শহরে হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা প্রশাসন ও উলুবেড়িয়া পুরসভার উদ্যেগে কার্নিভাল অনুষ্ঠিত হয়। ১৩টি পুজো কমিটি তাতে অংশ নেয়।