বুধবার ভোরে শুক্লা চতুর্দশী তিথিতে সূর্যোদয়ের পর মাকে গর্ভগৃহ থেকে বিশ্রাম মন্দিরে আনা হয়েছে । জীবিতকুণ্ড থেকে জল এনে স্নান করানোর পর মাকে রাজবেশে সাজানো হয়েছে । সারাদিন মায়ের পুজো চলবে এবং ভক্তরা মাকে স্পর্শ করে পুজো দিতে পারবেন, যা বছরে একবারই হয়ে থাকে। সন্ধ্যায় দেবীকে গর্ভগৃহে ফিরিয়ে এনে লক্ষ্মীরূপে পুজো করা হবে। বিশেষ দিনটির ঐতিহ্য অনুযায়ী, আজ দেবীর কোনও অন্নভোগ হয় না, ফলে তারাপীঠের সেবায়েতরাও এই দিন অন্ন গ্রহণ থেকে বিরত থাকেন।
পাল রাজত্বকালে জয়দত্ত সদাগর মায়ের শিলামূর্তি উদ্ধার করে প্রথম পুজো শুরু করেন বলে জানা যায়। সেই থেকে এই তিথি তারা মায়ের আর্বিভাব তিথি হিসেবে পালিত হচ্ছে। এদিন মা তারাকে তাঁর ছোট বোন মৌলিক্ষা দেবীর মন্দিরের দিকে মুখ করে বসানো হয়। দিনভর রাজকীয় বেশে মাকে সাজিয়ে পুজো চলবে। সন্ধ্যায় পুনরায় স্নান করিয়ে গর্ভগৃহে প্রবেশ করানো হবে। এরপর দেবী রাজরাজেশ্বরী রূপে লক্ষ্মী মূর্তিতে পূজিত হবেন। রাতের বিশেষ ভোগে খিচুড়ি, পোলাও, পাঁঠার মাংস, মিষ্টি, পায়েস ও দই নিবেদন করা হবে।
উৎসবের ভিড় সামলাতে মন্দির কর্তৃপক্ষ বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। অন্যেদিকে, পুলিস প্রশাসনের তরফেও কড়া নিরাপত্তা ব্যাবস্থার আয়োজন করা হয়েছে।