দেবাংশু লেখেন, বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল সেই বিষয়ে, কিন্তু বিচার পায়নি সৌমিত্রর মা। সেদিন কোনো We Want Justice বলে আন্দোলনও হয়নি। বরং সেদিন ঘটনা ধামাচাপা দিয়েছিলেন আর জি করের এসএফআই নেতা সুবর্ণ গোস্বামী। হ্যাঁ, সেই একই ব্যক্তি যিনি তিলোত্তমা কাণ্ডে গলার শিরা ফুলিয়ে ১৫০ গ্রামের থিওরি বলেছিলেন। সেদিনের ছাত্র খুন ও পর্ণ চক্রের মূল পান্ডা আজকের আন্দোলনের প্রধান মুখ! সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট দেবাংশুর। পাল্টা মানহানির মামলার হুঁশিয়ারি সুবর্ণ গোস্বামীর।
সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, 'আমার বা কোনও এসএফআই কর্মীর নামে কোনওরকম অভিযোগ ওঠেনি। কোনও জিজ্ঞাসাবাদ হয়নি। বরং ছেলেটির মা বলেছিলেন, আমার ছেলে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। যদিও পরে প্রমাণিত হয় ছেলেটি আত্মহত্যাই করেছিল। তবে এই ধরনের কুত্সা যারা করছেন তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হবে।'
প্রসঙ্গত বলা হচ্ছে, ২৩ বছর আগের ঘটনা। আরজি কর হাসপাতালের এক ডাক্তার পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় মৃতের মা সবিতাদেবী অভিযোগ করেছিলেন, আরজি কর হাসপাতালের পর্নোগ্রাফি চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়েই খুন হতে হয়েছে তাঁর ছেলেকে। এমনকী দুবেজি, ধরবাবু এবং গোঁসাই ঠাকুর - এই তিন এসএফআই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। যৌনকর্মী ভাড়া করে এনে শ্যুটিং করার মতো চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করে তৎকালীন সিআইডি অফিসাররা।যদিও আরজি কর হাসপাতালের তখনকার শীর্ষ এসএফআই নেতা ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামী এসব অভিযোগ মিথ্যে বলেছিলেন।
এদিকে কুণাল ঘোষ এক্সে লিখেছেন, মুখে তো অনেক হল। এবার জনতার দরবারে বিচার হোক। চ্যালেঞ্জ করছি, আসন্ন উপনির্বাচনে তিন/চারজন উস্কানিদাতা সিনিয়র ডাক্তার বা অতিবিপ্লবী নব্য নেতা কোনো জুনিয়র ডাক্তার সিপিএমের প্রার্থী হয়ে দেখান। ফেসবুকে, মিডিয়ায় সরকারবিরোধিতার সব ডায়লগ, সরাসরি মানুষের সামনে প্রার্থী হিসেবে আসুন। সিপিএমকেও বলব, নিজেরা শূন্য হওয়ার পর এখন যাদের মুখোশের আড়ালে করছেন, ক্ষমতা থাকলে সেই গোঁসাই, বাঁড়ুজ্জে, চিমটাদের প্রার্থী করে লড়াই করুন।