সম্প্রতি তাঁর এই আর্জির পরেই নড়েচড়ে বসেছে বর্তমান সরকার। ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রদের হস্টেলে পর্নোগ্রাফির শ্যুটিং চলত, তার প্রতিবাদ করাতেই খুন হতে হয়েছিল সৌমিত্র বিশ্বাস নামে ওই ডাক্তারি পড়ুয়া ছাত্রকে, সেই সময় এমনই অভিযোগ করেছিলেন সৌমিত্রর মা। ঘটনার ২৩ বছর পর বাম জমানায় 'ধামাচাপা দেওয়া' সেই মামলা নতুন করে খোলার আর্জি জানানোয় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন বারাকপুরের সাংসদ পার্থ ভৌমিক।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদ ফোন করে খুন হওয়া ছাত্রের ভাই শান্তনু বিশ্বাসকে আশ্বস্ত করে বলেন, 'আপনি ভয় পাবেন না, আমি নিজে এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সব কর্মী আপনাদের পাশে আছি। আপনার ভাইয়ের খুনের ন্যায় বিচারের জন্য আমরা সর্বতোভাবে সাহায্য করব। এই মামলা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলা হবে। পরামর্শ নেওয়া হবে'। পার্থ ভৌমিকের ফোনের পরেই বৃহস্পতিবার রাতে শান্তনুর বাড়ি যান বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস।
২০০১ সালে আরজি করের চিকিৎসক সৌমিত্র বিশ্বাসের মৃত্যুতে তৎকালীন এসএফআই নেতা এক জুনিয়র চিকিৎসক ছিলেন সন্দেহের তিরে। নিহতের পরিবার কখনওই আত্মহত্যার তত্ত্বে সন্তুষ্ট হননি। সেই সময় প্রথম সামনে আসে আরজি করে পর্ন সংস্কৃতি যা নিয়ে সরব হয়েছিল তৎকালীন এসইউসিআই-ও। সম্প্রতি সেই অভিযোগে ফের বিদ্ধ হন আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা এক সিনিয়র চিকিত্সক। এবার ফের সেই মামলাই উঠতে চলেছে আদালতে।