• কাঠামো থেকে দূষণ, সাফাইকর্মী নিয়ে ঘাট পরিষ্কার চেয়ারম্যানের
    বর্তমান | ২০ অক্টোবর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: নদীঘাটগুলির দূষণ রোধে এবার ময়দানে নামলেন বাঁকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অলকা সেনমজুমদার। বিসর্জনের পর দুর্গা ও লক্ষ্মী প্রতিমার কাঠামো বাঁকুড়া শহরের নদনদী ও জলাশয়ের ঘাটগুলিতে পড়েছিল। ফলে তা থেকে জলে দূষণ ছড়াচ্ছিল। এবার তা সরিয়ে ফেলতে চেয়ারম্যান উদ্যোগী হন। শনিবার সাফা‌ই কর্মী নিয়ে তিনি গন্ধেশ্বরী ও দ্বারকেশ্বরের ঘাটগুলিতে হাজির হন। চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকায় সাফাই কর্মীরাও কাজে ফাঁকি মারতে পারেননি। ফলে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার নদীঘাটগুলি ভালো পরিষ্কার হয় বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। 


    চেয়ারম্যান বলেন, শহরের সিংহভাগ প্রতিমা গন্ধেশ্বরী নদী ও দ্বারকেশ্বর নদের ঘাটে বিসর্জন হয়। সতীঘাটে অনেকে প্রতিমা নিরঞ্জন করেন। দুর্গার পাশাপাশি লক্ষ্মী প্রতিমাও নদীতে বিসর্জন করা হয়। বর্তমানে নদীর জলের স্রোত সেভাবে নেই। ফলে বিসর্জনের পর কাঠামোগুলি ঘাটেই থেকে গিয়েছিল। এদিন সাফা‌ই কর্মীরা তা সরিয়ে ফেলে। আমি দাঁড়িয়ে থেকে সাফাই কাজের তদারকি করি।  


    পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া শহর ও সংলগ্ন এলাকায় শতাধিক দুর্গাপুজো হয়। তারমধ্যে বারোয়ারি পুজোর সংখ্যাই বেশি। কিছু বনেদি বাড়িও শহরে রয়েছে। বারোয়ারি পুজোর অনুমতি প্রশাসনের কাছে সাধারণত নেওয়া হয়। বাকি পারিবারিক ও বনেদি বাড়ির পুজোর অনুমতি তেমনভাবে নেওয়ার রীতি নেই। বেশিরভাগ মণ্ডপে দেবীর মৃন্ময়ী প্রতিমা পূজিত হয়। পুজোর শেষে দশমী বা একাদশীর দিন থেকে বিসর্জন শুরু হয়। মূলত রাতে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়। কোনও কোনও প্রতিমা দিনেও নিরঞ্জন করা হয়। বিসর্জনের পর প্রতিমার কাঠামো দীর্ঘদিন ধরে নদী বা জলাশয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রতিমার সঙ্গে থাকা প্লাস্টিকের ফুল, মালা সহ অন্যান্য সামগ্রী জলে ভেসে বেড়ায়। তারফলে দল দূষিত হয়। 


    বাঁকুড়া শহরের গন্ধেশ্বরী নদীর দূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নাগরিক সমাজের একাংশ সরব রয়েছে। নদী বাঁচাও কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ওই নদীর পুনরুজ্জীবনের জন্য প্রশাসনের তরফেও প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। দিনদিন গন্ধেশ্বরী নদীর মজে যাওয়া নিয়ে এমনিতেই পরিবেশবিদরা উদ্বিগ্ন। তার উপর লাগাতার মানুষের নানা ক্রিয়াকলাপে নদী গতি হারালে সমস্যা আরও প্রকট হবে বলে তাঁরা মনে করছেন। সেই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার পুরসভার তরফে বাড়তি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এভাবে পুরসভার কর্তারা আগামী দিনেও যাতে সরেজমিনে বিভিন্ন কাজ খতিয়ে দেখেন, ঩সেই দাবিও বাসিন্দারা তুলেছেন।   
  • Link to this news (বর্তমান)