৫০ হাজার মহিলাকে দলের সদস্যপদ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা গেরুয়া শিবিরের
বর্তমান | ২০ অক্টোবর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: রায়গঞ্জ বিধানসভা উপ নির্বাচনে বিজেপির পর্যুদস্ত হওয়ায় বড় কারণ, মহিলা ভোটারদের সেভাবে পাশে না পাওয়া। তাই বিজেপির সদস্যপদ সংগ্রহ কর্মসূচি এবার উত্তর দিনাজপুর জেলায় বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে। তারা এবার বেশি সংখ্যক মহিলাকে দলের ছাতার তলায় নিয়ে আসতে চাইছে। অন্তত ৫০ হাজার মহিলাকে দলের সদস্যপদ দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে বলে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে। সদস্যপদ সংগ্রহ কর্মসূচি শুরুর আগে শনিবার রায়গঞ্জে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে মহিলা মোর্চার বিশেষ সাংগঠনিক কর্মসূচি পালিত হয়। যার নেতৃত্ব দেন রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র। এই কর্মসূচিতে বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল।
বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, রাজ্যজুড়ে মহিলারা খুব অসহায়। তাঁরাই বর্তমান শাসক দলের বিরুদ্ধে গলা চড়াতে পারেন। কারণ তাঁদের উপরই বারবার তৃণমূলের অত্যাচার নেমে আসছে। তাঁরা বুঝতে পারছেন বিজেপির সঙ্গে থাকলে তাঁরা সম্মান ও সুরক্ষা দুইই পাবেন। তাই তাঁদের আরও সক্রিয়ভাবে আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। আগামীতে এই জেলায় দলের নারী শক্তি আরও এগিয়ে আসবে। সপ্তাহখানেক আগে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এসে জেলায় তিন লক্ষ মানুষকে বিজেপির সদস্যপদ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দিয়েছেন। এবার রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রীর বার্তা নারীশক্তিকে বাড়ানোর। বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, আমাদের লক্ষ্য এবার জেলায় ৫০ হাজার মহিলাকে সদস্য পদ দেওয়া। সেইমতো সাংগঠনিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে। দলের নেত্রীও এদিন সেই বার্তাই রায়গঞ্জে এসে দিলেন। আমরা সেইমতো কাজ করব।
এপ্রসঙ্গে উত্তর দিনাজপুর জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চৈতালি ঘোষ বলেন, বিজেপি ইতিমধ্যে পরীক্ষিত। মহিলারা জানেন বিজেপি নেতারাই মহিলাদের সম্মান করেন না। উল্টে তৃণমূল সবসময় মহিলাদের পাশে থেকেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রীর মতো জনমুখী প্রকল্পগুলি মহিলাদের সম্মান রক্ষার্থেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছেন। যার জন্য বিজেপির সদস্যপদ কর্মসূচি শুধুমাত্র খাতায় কলমে হবে। তার কোনও বাস্তব রূপায়ণ দেখা যাবে না।