তিনবারের পরাজিতকে উপ নির্বাচনে প্রার্থী করেছে বিজেপি, ক্ষোভ দলেই
বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
রাজীব বর্মন, দেওয়ানহাট: নতুন মুখ খুঁজে না পাওয়ায়ায় একুশের ভোটে দলের পরাজিত প্রার্থীকে ফের উপ নির্বাচনে প্রার্থী কারতে হল বিজেপিকে। সিতাই বিধানসভা উপ নির্বাচনে শনিবার দলের প্রার্থী হিসেবে দীপককুমার রায়ের নাম ঘোষণা করেছে পদ্ম শিবির। তারপর থেকেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের ঘরে-বাইরে। যদিও প্রকাশ্যে কেউ দলের প্রার্থী নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে চাননি।
পেশায় শিক্ষক দীপকবাবু সিতাইয়ের বাসিন্দা। এরআগে দু’বার সিতাই বিধানসভায় এবং একবার কোচবিহার লোকসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও কোনও ভোটেই জিততে পারেননি তিনি। ২০১১ সালে প্রথমবার ফরওয়ার্ড ব্লকের হয়ে বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হন। সেবার কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে হেরে যান। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটে ফব’র প্রার্থী হন তিনি। তৃণমূলের রেণুকা সিংহের কাছে পরাজিত হতে হয় তাঁকে। সেবারই বাম প্রার্থী দীপককুমার রায়কে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোচবিহার লোকসভা আসন তৃণমূলের দখলে আসে।
এরপর ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে সিতাইতে বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করে। কিন্তু সেই ভোটে জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার কাছে পরাজিত হন। জগদীশচন্দ্র সাংসদ হওয়ায় তাঁর ছেড়ে আসা আসনে উপ নির্বাচনে দীপককুমার রায়কেই ফের আরও একবার প্রার্থী করল গেরুয়া শিবির।
ফলে দলেরই একটা বড় অংশের মধ্যে প্রার্থী নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। কারণ এই আসনে প্রার্থী হতে চেয়ে অনেকেই ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ফের দীপক রায়কে প্রার্থী করা হয়েছে। আর তা নিয়েই গ্রেরুয়া শিবিরে নতুন করে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে বিজেপির অন্দরের খবর। যদিও বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু বলেন, প্রার্থী নিয়ে কোনও ক্ষোভ আমাদের দলে নেই। ওসব বিরোধীদের অপপ্রচার।
তৃণমূল নেতা কোচবিহারের সাংসদ জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, উনি তো ভোটে হারার হ্যাট্রিক করেছেন। এবার লক্ষাধিক ভোটে হেরে আরও একটি রেকর্ড করবেন। আসলে বিজেপির কেউ প্রার্থী হতে চান না। তাই বাধ্য হয়ে বারেবারে পরাজিত হয়েছেন, এমন লোককে বিজেপি প্রার্থী করেছে।
যদিও বিজেপির প্রার্থী দীপককুমার রায় বলেন, এমপি তো জ্যোতিষী নন। জনগণ যদি ভালোভাবে ভোট দিতে পারে তাহলে ভোটের বাক্সে তার প্রতিফলন হবে। দল আমাকে প্রার্থী করেছে, তাই দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন করছি। এটাই আমার কর্তব্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে কারও সঙ্গে লড়াই করছি না। লড়াই রাজনৈতিক মতাদর্শগত।