দমকল কেন্দ্র, ফ্লাইওভার গড়তে উদ্যোগ, একাধিক প্রকল্পের জায়গা পরিদর্শন জেলাশাসকের
বর্তমান | ২১ অক্টোবর ২০২৪
সংবাদদাতা, ইটাহার: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর দমকল কেন্দ্র, ফ্লাইওভার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণ সহ একাধিক উন্নয়নমূলক কাজের উদ্যোগ নিল জেলা প্রশাসন। রবিবার প্রথম ধাপে মহকুমা শাসক, বিধায়ক, বিডিও সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তার সঙ্গে ইটাহারের বিভিন্ন সরকারি জায়গা পরিদর্শন করলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা।
দীর্ঘদিন ইটাহারে দমকল কেন্দ্রের দাবি জানাচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। কারণ অগ্নিকাণ্ড হলে রায়গঞ্জ থেকে দমকলের ইঞ্জিন আসার আগেই অনেক ক্ষেত্রে পুড়ে ছাই হয়ে যেত ঘরবাড়ি। বিধায়ক মোশারফ হুসেন জেলা প্রশাসন সহ নির্দিষ্ট দপ্তরে এই বিষয়ে নথি সহ দমকল কেন্দ্রের সুপারিশ করেছিলেন। তারপর চিহ্নিত করা হয় গোঠলু হোমগার্ড ট্রেনিং সেন্টার চত্বর।
প্রাথমিকভাবে সেই জায়গা একাধিকবার পরিদর্শন করা হয় স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে। তবে সেখানে জল জমার সমস্যা ছিল। রবিবার দমকল কেন্দ্রের জন্য সুলিয়াপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি সরকারি জায়গা পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক।
ইটাহার চৌরঙ্গী মোড় এলাকা দক্ষিণ দিনাজপুর, চাঁচল, বিহার, শিলিগুড়ি ও মালদহ জেলার সংযোগস্থল। এলাকায় জাতীয় ও রাজ্য সড়ক থাকায় চৌরঙ্গী মোড়ে মালদহ-শিলিগুড়ি রুটে ফ্লাইওভার নির্মাণের সুপারিশ করেন বিধায়ক। সেই মোতাবেক এদিন হাইওয়ে কর্তৃপক্ষকে নিয়ে ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য জায়গা খতিয়ে দেখেন প্রশাসনিক কর্তারা।
ইটাহারের দুর্গাপুর অঞ্চলের রাজগ্রাম এলাকায় শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। আগেই চিহ্নিত করা জায়গা দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার ও বিধায়ক পরিদর্শন করেছেন। পার্ক কত দ্রুত তৈরি করা যায়, সেই বিষয়টিও দেখেন জেলাশাসক। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষ কার্তিক দাস, ইটাহার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রীনা সরকার, দমকল ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক সহ অন্যরা।
বিধায়ক মোশারফ বলেন, জায়গা চিহ্নিত করে রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট দপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কাছে প্রকল্পের সুপারিশ করেছিলাম। সেইমতো প্রশাসনিক কর্তারা পরিদর্শন করলেন।
এদিন জেলাশাসক ইটাহার বাস টার্মিনাস, পথসাথী, স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রকল্প, গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বর পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি বাস টার্মিনাস প্রাঙ্গণে সুফল বাংলার স্টলে সরকারি মূল্যে সাধারণ মানুষ সামগ্রী পাচ্ছেন কি না খোঁজ নেন তিনি।
জেলাশাসক বলেন, বিধায়কের প্রস্তাব অনুযায়ী সরেজমিনে জায়গা দেখলাম। বিস্তারিত তথ্য রাজ্যে পাঠানো হবে।