নব্য়েন্দু হাজরা: জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মানল নবান্ন। কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যস্তরে তৈরি করা হল টাস্ক ফোর্স। রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ, হাসপাতালের নিরাপত্তা-সহ সার্বিকভাবে সমস্ত অভিযোগ এবার থেকে খতিয়ে দেখবে এই টাস্ক ফোর্স। জুনিয়র ডাক্তারদের বিচারের দাবি যে মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে পর্যালোচনা করেছেন এবং অতি দ্রুত তা বাস্তবায়িত করেছেন, এটা স্পষ্ট। সোমবারের বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আস্থা থাকার কথা জানিয়েছিলেন।
জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবির মধ্যে অন্যতম ছিল রাজ্যস্তরে টাস্ক ফোর্স গঠন। সোমবারের বৈঠকে বার বার এনিয়ে আলোচনা হয়। মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, মঙ্গলবার দুপুর তিনটের মধ্যে টাস্ক ফোর্সের এসওপি পাঠিয়ে দেবেন। কথা রেখে সেই টাস্ক ফোর্স গড়ে দিলেন তিনি। নেতৃত্বে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। রয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী মুখোপাধ্যায়, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের প্রিন্সিপাল সচিব, কলকাতার পুলিশ কমিশনার। ডাক্তারদের তরফে থাকছেন ২ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার, ২ জুনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার, রাজ্যস্তরের গ্রিভান্স সেলের এক প্রতিনিধি এবং ডাক্তারি পড়ুয়াদের মধ্যে থেকে এক ছাত্রী।
কী কী বিষয় দেখবে এই টাস্ক ফোর্স?
স্বাস্থ্য পরিকাঠামো মজবুত করা। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিসি টিভি বসানো, চিকিৎসকদের জন্য আলাদা শৌচাগার-ডিউটি রুম তৈরি। পানীয় জলের ব্যবস্থার দিকে নজর রাখবে এই কমিটি।
মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নিরাপত্তায় পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষী ও নজরদারি মোবাইল ভ্যান মোতায়েন সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
কেন্দ্রীয় হেল্পলাইন ও প্যানিক বাটন বাস্তবায়ন।
কেন্দ্রীয় রেফারেল সিস্টেম ও রিয়েল টাইম কত বেড ফাঁকা আছে, তা জানানোর পরিকাঠামো বাস্তবায়ন।
মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অভ্য়ন্তরে থাকা সিকিওরিটি অডিট কমিটি এবং অভ্যন্তরীণ কমপ্লেন কমিটির কার্যবিধির উপর নজরদারি।
নাগরিকদের উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা।
অন্য যে কোনও বিষয় রাজ্যস্তরীয় টাস্ক ফোর্সের নজরে আনলে সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।