দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: স্বামীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। কিছুটা দূরে উদ্ধার স্ত্রীর অর্ধনগ্ন দেহ। দম্পতির দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের চন্দনেশ্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, কেনই বা খুন হতে হল দম্পতিকে, এই ঘটনা ঘিরে এমনই নানা প্রশ্নের ভিড়। চন্দনেশ্বর থানার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর এলাকার বাসিন্দা ওই দম্পতি। স্বামী পেশায় সবজি ব্যবসায়ী। দোতলা বাড়ি ছিল তাঁদের। শনিবার রাতে খাবারদাবার খেয়ে একসঙ্গে ঘুমোতে যান। রাতে মহিলা তাঁর বাপের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ভিডিও কল করেন। এর পর রবিবার সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলে দেখেন তাঁর বাবা-মা ঘুমোচ্ছে। বেলা বাড়লেও তাঁদের সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তাতেই সন্দেহ জাগে। দরজা ধাক্কা দিতে গিয়ে দেখেন ভিতরের ছিটকানি ভাঙা।
দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকে কার্যত তাজ্জব হয়ে যান মৃতের ছেলে। তিনি দেখেন, ঘরে পড়ে রয়েছে বাবার দেহ। গোটা শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। রক্তে ভেসে যাচ্ছে গোটা ঘর। মা পড়ে রয়েছেন বিছানায়। নিথর দেহটি বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এই দৃশ্যে কার্যত আঁতকে ওঠেন ছেলে। চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন। তাঁর আর্তনাদ শুনে প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চন্দনেশ্বর থানার পুলিশ। দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাইরে থেকে কেউ ঘরে ঢুকে কেউ হয়তো খুন করেছে দম্পতিকে। এই ঘটনার নেপথ্য কারণও স্পষ্ট নয়। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। পরিবারের লোকজনের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা।