• রাতে ছিল, সকালে নেই, রাতারাতি শ্যামবাজার থেকে উধাও নির্যাতিতার মূর্তি, থানায় বাম
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ অক্টোবর ২০২৪
  • শনিবার রাতেও মূর্তিটা ছিল। কিন্তু রবিবার আর সেই মূর্তি নেই। শ্যামবাজার থেকে উধাও হয়ে গেল নির্যাতিতার মূর্তি। আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার হলে এক তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল। সেই ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ। বলা ভালো গোটা বিশ্বজুড়ে এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন সাধারণ মানুষ।

    বাম ছাত্র, যুব সংগঠনের তরফে এনিয়ে শ্য়ামপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তাদের দাবি, প্রতিবাদে ভয় পেয়েছে শাসকদল। তার জেরেই নির্যাতিতার মূর্তি চুরি করা হয়েছে। সরিয়ে ফেলা হয়েছে নির্যাতিতার মূর্তি। এটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। 

    বাম ছাত্র যুব সংগঠন এসএফআই, ডিওয়াইএফআইয়ের তরফে এনিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। আসলে গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্য়ামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছিলেন বাম ছাত্রযুবরা। সেই সময় সেই ধরনামঞ্চের পাশেই প্রতীকী মূর্তি বসানো হয়েছিল। মূলত আরজি করের ঘটনার স্মরণেই সেই প্রতীকী মূর্তি বসানো হয়েছিল। তবে সেটা একেবারেই প্রতীকী ছিল। একটা মুখের অবয়বকে তৈরি করা হয়েছিল। 

    এদিকে বাম ছাত্রযুবদের অভিযোগ রাতারাতি মূর্তি উধাও করা হয়েছে। প্রতিবাদে ভয় পাচ্ছে শাসকদল। সেকারণেই মূর্তি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে নানা প্রশ্ন রয়েছে। বামেদের দাবি, একা কারোর পক্ষে আচমকা ওই মূর্তি সরিয়ে দেওয়াটা সম্ভব নয়। এর পেছনে একটা ষড়যন্ত্র রয়েছে। এদিকে অভিযোগ পাওয়ার পরে পুলিশও গোটা ঘটনাটা খতিয়ে দেখছে। এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও প্রয়োজনে খতিয়ে দেখা হবে বলে খবর।  এদিকে আরজি করের ঘটনার পর থেকে নানাভাবে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন বামেরা। বার বার মিছিল করেছেন। এমনকী টানা ধর্নাতেও বসেছিলেন তাঁরা। আর তাঁদের বসানো প্রতীকী মূর্তিই এবার উধাও হয়ে গেল। 

    এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এসেছিলেন বাংলায়। নির্যাতিতার বাবা মা চিঠি দিয়েছিলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করার জন্য। কিন্তু দেখা হয়নি। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁচা দিলেন কুণাল ঘোষ। নিশানায় বিজেপি। 

    কুণাল বলেন, ‘কেন অমিত শাহ আরজি করের অভয়ার বাবা, মা'র সঙ্গে দেখা করলেন না? অবশ্যই দেখা করা উচিত ছিল। আমরা এ বিষয়ে একাধিকবার তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। তিনি শুনলেন না। বাংলায় এঁরা শুধু রাজনৈতিক ভাষণ দিতে আসেন। কোনও দায়িত্বপালন করেন না।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)