সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহিলা রোগীকে ইঞ্জেকশন দিয়ে অচৈতন্য করার পর ধর্ষণের অভিযোগ উঠল খোদ ডাক্তারের বিরুদ্ধে। পরে সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ফের ধর্ষণ, চার লক্ষ টাকা নেওয়ারও অভিযোগ তুলেছে ওই রোগী ও তাঁর পরিবার। হাসনাবাদ থানা এলাকার এই ঘটনায় শোরগোল। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মহিলার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর শরীর খারাপ হওয়ায় সম্প্রতি স্থানীয় ডাক্তার নূর আলম সর্দারের কাছে যান। অভিযোগ, ওই চিকিৎসক ইঞ্জেকশন দেওয়ার নামে অচেতন করার ইঞ্জেকশন দেন। তার পর ধর্ষণ করে ছবি তোলে। পরে সেই ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ফের ধর্ষণ করে এবং ৪ লক্ষ টাকা মহিলার থেকে আদায় করে নূর। পরে ফের মহিলার কাছে টাকার দাবি করতে থাকে। তখন কর্মসূত্রে বাইরে থাকা স্বামীকে বিষয়টি জানান নির্যাতিতা। বাড়ি ফিরে মহিলার স্বামী হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার অভিযুক্ত চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে। ওই মহিলার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হয়েছে। আর জি কর কাণ্ডের আবহে এই ঘটনায় যথেষ্ট উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। দোষীর উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার।