• ফানুস থেকে আগুন লাগলেই কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ, হতে পারে ২ মাসের জেল-জরিমানা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ অক্টোবর ২০২৪
  • সামনেই কালীপুজো। দীপাবলির উৎসবে শহরে নিষিদ্ধ রয়েছে ফানুস। অতীতে ফানুস থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তারপরই ফানুসে জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। তা সত্ত্বেও পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে যাতে ফানুস ওড়ানো না হয় তার জন্য কঠোর পদক্ষেপ করল পুলিশ। ফানুস থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেক্ষেত্রে ৭৪ বছরের পুরানো আইন ‘পশ্চিমবঙ্গ ফায়ার সার্ভিসেস অ্যাক্ট’-এর অধীনে মামলা রুজু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

    আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এই আইনের অধীনে সর্বনিম্ন দুমাসের জেল এবং ১০০ টাকার জরিমানার বিধান রয়েছে। পুলিশের সঙ্গে বৈঠকে শহরের পুজো উদ্যোক্তারা জানান, গত বছর ফানুস থেকে দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তার পরেই কলকাতা পুলিশ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুগ্ম কমিশনার মিরাজ খালিদ জানান, ‘ফানুস হল নিষিদ্ধ সামগ্রীগুলির একটি। এক্ষেত্রে আগুন লাগলে আমরা পশ্চিমবঙ্গ ফায়ার সার্ভিস অ্যাক্টের ৯ ধারায় ব্যবস্থা নেব।’

    উল্লেখ্য, এই আইনে বলা হয়েছে, যে কোনও ব্যক্তি লাইসেন্স ছাড়া রকেট বা আগুন বহনকারী বেলুন বা আতশবাজি বিক্রি করতে পারবে না। বিধাননগর এবং বারাকপুর উভয় এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরে ফানুস নিষিদ্ধ রয়েছে। নিউ টাউন এবং রাজাহাটে বিমানবন্দরের ১০ বর্গকিলোমিটার এলাকায় মধ্যে এবং বিরাটি, মধ্যমগ্রাম এবং দম দমের বেশ কয়েকটি পাড়ায় এই নিষেধাজ্ঞা আগে থেকেই রয়েছে।

    বিধাননগর কমিশনারেট ৬ বছরও আগে প্রথম ফানুসে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ করেছিল পুলিশ। অনেকেই প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসাবে পদক্ষেপটির প্রশংসা করেছেন। তবে অনেকে মনে করেছেন এটি তাদের ঐতিহ্যগত আবেগকে আঘাত করেছে। আবার অনেকেই যুক্তি দিয়েছিলেন, যে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ না করে ফানুস যাতে নিরাপদে ওড়ানো যায় তার ব্যবস্থা করা। তাই  এনিয়ে অনেক পুজো উদ্যোক্তা পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করতে চায়ছে। 

    অন্যদিকে, দীপাবলির আগে মুম্বই পুলিশ নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা হিসাবে এক মাসের জন্য ফানুসের ব্যবহার, বিক্রি এবং সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করেছে। ২৩ অক্টোবর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলে পুলিশের এক আধিকারিক জানান। ফানুস মারাত্মক বিপদ সৃষ্টি করতে পারে এবং সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করতে পারে বলে নির্দেশে বলা হয়েছে। আর সেক্ষেত্রে নির্দেশ লঙ্ঘনকারীদের ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ২২৩ ধারার অধীনে মামলা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)