স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য দিনের মতোই সাইকেলে চড়ে গ্রামের অন্যান্য বান্ধবীদের সঙ্গে নবম শ্রেণির ওই আদিবাসী ছাত্রী গতকাল সন্ধ্যায় গ্রাম থেকে বেশ কিছুটা দূরে টিউশানি পড়তে যায়। সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পড়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল স্থানীয় এলাকায় কালী প্রতিমার বিসর্জন থাকায় ৭টা নাগাদ ছুটি দিয়ে দিন শিক্ষক। টিউশানি ছুটি হতেই এক বান্ধবীর সাইকেলে চড়ে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। অভিযোগ, বাড়িতে ফেরার পথে কালী মন্দিরের সামনে থেকে এক যুবক তাদের অনুসরণ করতে শুরু করে। অন্ধকার জায়গায় আসতেই সাইকেলের কেরিয়ারে বসে থাকা ওই ছাত্রীকে পিছন থেকে জাপটে ধরে চলন্ত সাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে শ্লীলতাহানি করে যুবক। এমনকি ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা দেখে ওই ছাত্রীর সঙ্গে থাকা অন্যান্য বান্ধবীরা যুবকের দিকে তেড়ে যায়। কোনওক্রমে নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে ফের টিউশানি শিক্ষকের কাছে ফিরে যায়।
সেখান থেকেই ফোন করে পরিবারকে গোটা ঘটনার কথা জানায় নির্যাতিতা। এরপরই নির্যাতিতার গ্রামের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে অভিযুক্তর গ্রামে যায়। কিন্তু অভিযুক্তর বাড়ি তালাবন্ধ থাকায় শেষ পর্যন্ত কোতুলপুর থানায় এসে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ দায়েরের পর, ৪৫ মিনিটের মধ্যেই তল্লাশি চালিয়ে মূল অভিযুক্ত ভাদু সিং-কে গ্রেফতার করে পুলিস। এই ঘটনায় অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন নির্যাতিতার পরিবার। প্রশাসন অভিযুক্তর কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হলে আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা।