আবাসের তালিকায় কারও নাম না থাকায় হতাশ ধুমসাডাঙির মিশররা
বর্তমান | ০৭ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: ২০১৭ সালের বন্যায় ভেঙে গিয়েছে ঘর। জীর্ণ কাঁচাঘরে দিন গুজরান করছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের ধুমসাডাঙি গ্রামের বাসিন্দারা। ‘আবাস প্লাস’ সার্ভের তালিকায় গ্রামের কারও নাম না থাকায় হতাশ তাঁরা। আর কত গরিব হলে ঘর মিলবে? প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা।
হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভালুকাগামী রাজ্য সড়কের ধারে রয়েছে গ্রামটি। প্রায় দুশো পরিবারের। কেউ দিনমজুর, কেউ ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক। অর্থাভাবে পাকাঘর করা তো দূর, দুবেলা খাবার জোগাড় করতে পারেন না গ্রামের অনেকে। ভূমিহীন পরিবারগুলি কেউ পলিথিন টাঙিয়ে, কেউ টালি ও টিনের ছাউনি দিয়ে কাঁচাঘরে কোনওরকমে দিন গুজরান করেন।
সরকারি ঘরের আশায় রয়েছে পরিবারগুলি। স্থানীয় বাসিন্দা পুনায় মিশর, বকনি মিশর ও বিনয় মিশরদের বক্তব্য, পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও আবাসের তালিকায় অনেকের নাম রয়েছে। আমরা ত্রিপল টাঙিয়ে কাঁচাঘরে বসবাস করছি। তালিকায় আমাদের নাম নেই। আমাদের কেউ খোঁজও নিতে আসে না।
কংগ্রেসের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় মিশর জানান, ২০১৮ সালের আবাস যোজনার তালিকায় গ্রামের কারও নাম নেই।
২১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত সমীক্ষার কাজ। তালিকায় নাম না থাকায় গ্রামে কেউ সার্ভে করতে আসেনি। ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। এমনকী ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে অভিযোগ জানিয়েছি। কোনও উত্তর আসেনি।
বিডিও সৌমেন মণ্ডল বলেন, ২০১৮ সালে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকে সার্ভের তালিকায় প্রায় ১৮ হাজার মানুষের নাম ছিল।
২০২২ সালে সার্ভেতে ৯,২২২টি নাম টিকে ছিল। রাজ্য সরকারের নির্দেশে ২১ অক্টোবর থেকে আবার সার্ভে শুরু হয়েছে। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। আবাসের তালিকায় ধুমসাডাঙি গ্রামের বাসিন্দাদের কারও নাম নেই কেন, তা খোঁজ নিয়ে দেখছি।