‘নবান্ন পূর্ব বিহার সরকারের সদর দফতর’, ছবি পোস্ট করে মমতাদের আক্রমণ বাংলা পক্ষের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ নভেম্বর ২০২৪
ছটপুজোয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে দু'দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে। তা নিয়ে একটি মহলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। তারইমধ্যে একটি ছবি পোস্ট করে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে আক্রমণ শানিয়ে বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি বলেছেন, 'নবান্ন পূর্ব বিহার সরকারের সদর দফতর৷ পূর্ব বিহারের মূল উৎসব- ছট।' তিনি যে ছবি পোস্ট করেছেন, তাতে লেখা আছে যে ‘ছটপুজোর শুভেচ্ছা।’ যে ছবিটা পশ্চিমবঙ্গের সচিবালয় নবান্নের বলে দাবি করেছেন বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক। যদিও সেই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এমনিতে ছটপুজোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে আজ এবং আগামিকাল ছুটি দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার বলেছেন যে ছটপুজোয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার দু'দিন ছুটি দেয়। কেন্দ্রীয় সরকার মোটেও সেই কাজটা করে না। যাঁরা পশ্চিমবঙ্গে থাকেন এবং যাঁরা পশ্চিমবঙ্গকে ভালোবাসেন, তাঁদেরকে 'বন্ধু' হিসেবেও একাধিকবার উল্লেখ করেছেন।
গত বছর ছটপুজোর বিকেলে গঙ্গার ঘাটে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি ২০ বছর ধরে আছেন। ৩৬ ঘণ্টা উপবাস করেন মহিলারা। তিনি নিজেও উপবাস করেন। সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন যে ঠেকুয়া খেতে খুব ভালোবাসেন। তাঁর পছন্দের খাবার হল ঠেকুয়া। আর প্রতি বছর আসারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
আর এবার ছটপুজোয় মুখ্যমন্ত্রী একটি গান লিখেছেন। সেই গানের সুরও দিয়েছেন। বুধবার ‘পোস্তা বাজার মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের’ জগদ্ধাত্রী পুজোর উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী সেই কথা জানান। ছটপুজোর জন্য সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে তিনি একটি গান লিখেছেন। গানের সুর দিয়েছেন। যে গানটা ঘাটে-ঘাটে গিয়ে শোনা যাবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, তাঁর গান সম্বলিত পেনড্রাইভ আগেই প্রশাসনকে দিয়েছেন। আর ঘাটে যাতে সেই গান শোনা যায়, সেই ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান।
তারপর আজ সকালে সেই গানের ভিডিয়ো প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে ছটপুজোর শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন, 'প্রকৃতি এবং ছট মাইয়ার প্রতি আমাদের যে গভীর কৃতজ্ঞতা, ভক্তি এবং অটুট বিশ্বাস আছে, সেটার জন্য ছটপুজো পালন করা হয়। এই পবিত্র উৎসবে সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই বছর ভক্তি ও বিশ্বাসের এই পবিত্র মুহূর্তে আপনাদের সকলের জন্য একটি বিনীত প্রয়াস করলাম। একটি গানের কথা লিখেছি আমি। আর গানে সুর দিয়েছি। আপনাদের সকলকে ছটপুজোর অভিনন্দন।'