সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যে ৫৬৩ জন জুনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, যে তাঁরা আন্দোলনের অজুহাতে সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা দিচ্ছেন না, অথচ বেসরকারি হাসপাতালে পবরিষেবা দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করছেন, তেমনই পাঁচজনের নাম প্রকাশ করা হল!
'খবর ৩৬৫ দিন'-এর সেই প্রতিবেদনের 'পর্ব ১ ও পর্ব ২' শুক্রবার নিজের এক্স হ্য়ান্ডেলে পোস্ট করেছেন কুণাল ঘোষ। সেইসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন - ‘বিপ্লবীরা কিছু বলবেন???????’
প্রসঙ্গত, আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠার পর সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, যে জুনিয়র চিকিৎসকরা আন্দোলনের নাম করে সরকারি পরিষেবায় বাধা সৃষ্টি করছেন, তাঁরাই বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে মোটা টাকার বিনিময়ে পরিষেবা জারি রেখেছেন।
এমনকী, সেই খবর পৌঁছে যায় নবান্নেও। নবান্নে যেদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়, সেদিন মুখ্যমন্ত্রী নিজে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
যদিও এত দিন সংবাদমাধ্যম বা সরকার - কোনও তরফে সেই নির্দিষ্ট জুনিয়র ডাক্তারদের পরিচয় প্রকাশ্যে আনা হয়নি। এবার তেমনটাই করা হল বলে দাবি করেছে 'খবর ৩৬৫ দিন' কর্তৃপক্ষ।
কুণাল ঘোষ ওই সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্রের যে অংশগুলি পোস্ট করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে - '৩৬৫ দিন বুলেটিন অন্তর্তদন্ত। পর্ব ১' এবং '৩৬৫ দিন বুলেটিন অন্তর্তদন্ত। পর্ব ২' শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রথম প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ৫৬৩ জন জুনিয়র চিকিৎসক আরজি কাণ্ডের পর শুধুমাত্র স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের অধীনেই ৫৪.৩৯ কোটি টাকা উপার্জন করেছেন।
সেইসঙ্গে, প্রথম পর্যায়ের এই প্রতিবেদনে পাঁচজন জুনিয়র চিকিৎসকের নাম, তাঁরা যে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন, সেই হাসপাতালের নাম এবং তাঁরা কোন কোন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করে কত অর্থ উপার্জন করেছেন, তার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হল বলে দাবি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তরফে আরও জানানো হয়েছে,পরবর্তী প্রতিবেদনগুলিতে বাদবাকি সেইসব জুনিয়র ডাক্তারদের নামও প্রকাশ্যে আনা হবে।
বস্তুত, সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্বে সেই প্রতিশ্রুতি মতোই আরও পাঁচজন জুনিয়র চিকিৎসকের নাম প্রকাশ করেছে 'খবর ৩৬৫ দিন' কর্তৃপক্ষ। আর এই তালিকা প্রকাশ্যে আসার পরই সমাজমাধ্যমে এ নিয়ে সরব হয়েছেন কুণাল ঘোষ।
এদিন সন্ধে ৭টার মধ্যেই কুণাল ঘোষের সেই পোস্ট প্রায় ২৩,০০০ মানুষ দেখে ফেলেছেন। অনেকেই সেটি রিপোস্টও করেছেন।