সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাড়োয়া উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে সন্দেশখালি ইস্যুতে বিজেপির পরাজিত প্রার্থীর উদ্দেশে কুরুচিকর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়ে ফিরহাদের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই ক্ষমা চেয়ে নিলেন ফিরহাদ হাকিম। করজোড়ে তাঁর বক্তব্য, নারীরা তাঁর কাছে মাতৃস্বরূপা। কোনও মহিলার উদ্দেশে অপমানজনক কথা বলা একেবারেই তাঁর অভ্যেস নয়। বক্তব্যের নিশানায় কোনও মহিলা নন, ছিলেন বিজেপির পরাজিত প্রার্থী। কথায় রেখা পাত্র আঘাত পেলে ক্ষমাপ্রার্থী।
বুধবার হাড়োয়ায় তৃণমূল প্রার্থী রবিউল ইসলামের সমর্থনে জনসভা করতে গিয়েছিলেন ফিরহাদ হাকিম। বিরোধীদের উদ্দেশে চাঁচাছোলা ভাষায় তিনি বক্তব্য রাখেন। বলেন, ‘‘নারী নির্যাতন নিয়ে সারা দেশের কাছে মিথ্যা প্রচার করেছে বিজেপি। সন্দেশখালির নারীদের অসম্মান করেছে বিজেপি। সন্দেশখালিতে আমার এক বন্ধু থাকে। তার মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ক?্যানিংয়ে। বিজেপি সন্দেশখালিকে এতটাই কালিমালিপ্ত করেছে যে ক?্যানিংয়ের লোকজন বলে, সন্দেশখালির মেয়ে মানে অপবিত্র। তাই তার বিয়ে ভেঙে যায়। বসিরহাটের যিনি বিজেপির প্রার্থী ছিলেন, সেই ভদ্রমহিলা কোথায়? এই তো হাজি নুরুলের বিরুদ্ধে কেস করেছিল। হেরো মাল।”
বক্তব্যের এই শেষাংশ নিয়েই আপত্তি তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে তিনি জাতীয় মহিলা কমিশন ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বিষয়টি নিয়ে অনর্থক বিতর্ক উঠতেই ক্ষমা চেয়ে নিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, ‘‘আমার কথায় রেখার যদি খারাপ লেগে থাকে, আমি অত্যন্ত দুঃখিত। কোনও নারীকে অসম্মান করার কথা আমি স্বপ্নেও ভাবতে পারি না। আমার নেত্রী নারী, মা নারী, স্ত্রী, কন্যা, নাতনিরাও নারী। তাঁরা আমার কাছে মাতৃস্বরূপা। নারীদের সম্মান করি বলেই বাংলায় আমরা দুর্গাপুজো, কালীপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজো, সরস্বতী পুজো করি। নারীদের অসম্মান করা আমাদের সংস্কৃতিতে নেই।’’ এর পর তাঁর আরও সংযোজন, ‘হেরে ভূত’, ‘হেরো মাল’ ইত্যাদি শব্দবন্ধগুলি ভোটে পরাজিত প্রার্থীদের উদ্দেশে, বিশেষত বিজেপির উদ্দেশে বলা। রেখা পাত্রকে তিনি ‘ভদ্রমহিলা’ বলেই সম্বোধন করেছেন বলেও দাবি।