নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদহ: বিহার থেকে অস্ত্র পাচার করতে এসে পুলিসের জালে মুঙ্গেরের বাসিন্দা। উদ্ধার ঝাঁ চকচকে ৩ টি নতুন সেভেন এমএম পিস্তল। ধৃতের নাম মহম্মদ মতিউর রহমান। তার সঙ্গে মহম্মদ সইফুদ্দিন নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিস। তার বাড়ি মোথাবাড়ি থানা এলাকার ছোট মহদিপুরে। মালদহ জেলা পুলিসের এক আধিকারিক জানান, ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
জলপথে বিহার থেকে মালদহে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পাচার নিয়ে কিছুদিন আগে খবর প্রকাশিত হয় ‘বর্তমান’-এ। মালদহে আগ্নেয়াস্ত্র সহ দু’জন গ্রেপ্তার হওয়ায় সেই তত্ত্বকে জোরালো করেছে। শুক্রবার ধৃতদের মালদহ সিজেএম কোর্টে পেশ করে পাঁচদিনের হেফাজতে নেয় পুলিস। কোন রুট ব্যবহার করে তিনটি সেমি অটোমেটিক পিস্তল মালদহে আনা হল? এই পিস্তলগুলি কতজনের কাছে সাপ্লাই করার কথা ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস।
বৃহস্পতিবার রাতে পুলিস গোপন সূত্রে অস্ত্র পাচারের কথা জানতে পারে। সেই মতো সম্পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে অপারেশনে নামে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিস। বৈষ্ণবনগর-ফরাক্কা জাতীয় সড়ক সহ গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হয়। সজাগ করা হয় প্রত্যেক নাকা চেকিং পয়েন্টে।
শুক্রবার ভোর তিনটে নাগাদ বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার ১৮ মাইল ও টোলপ্লাজার মাঝামাঝি জায়গায় দুই ব্যক্তির চলাফেরা দেখে সন্দেহ হয় পুলিসের। ওই দুই ব্যক্তিকে দাঁড়াতে বললেও তারা এগিয়ে যেতে থাকে। এরপর পুলিস তাদের ধাওয়া করে ধরে ফেলে। ধৃতদের কাছে নাম ঠিকানা জানতে চাওয়া হলে তারা অসংলগ্ন কথা বলতে শুরু করে। পুলিস তল্লাশি শুরু করতেই তাদের কাছ থেকে তিনটি পিস্তল উদ্ধার হয়।
শুক্রবার বুনিয়াদপুর শহরের রেলস্টেশন মাঠে বোল্লা রক্ষাকালী মাতার পুজো উপলক্ষ্যে খুঁটিপুজো করে প্যান্ডেলের কাজ শুরু হল। বোল্লাকালী পুজোর রাতে বুনিয়াদপুরে ছোট বোল্লা পুজো করে আসছেন উদ্যোক্তারা। তান্ত্রিক ও বৈষ্ণব মতে পুজো হয়।