• দু’বছরেই ‘দিদিমণি’, ঠোঁটের ডগায় পশু-পাখি, ফুল-ফল ও গাড়ির নাম
    বর্তমান | ১০ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: এবার ‘বিস্ময় শিশু’র খোঁজ জলপাইগুড়িতে! দু’বছরেই কার্যত ‘দিদিমণি’ শিশুকন্যা। নাম শিভাংশী পাখিরা। পড়াটাই খেলা ওই একরত্তির। ঘুরতে ফিরতে বাড়ির বড়দের হাত ধরে টেনে পড়তে বসায় সে। যে বয়সে আর পাঁচটা শিশু ভালোভাবে কথা বলতে পারে না, শিভাংশী বইয়ের পাতায় ছবি দেখে অনায়াসে বলতে পারে পশু-পাখি থেকে ফুল-ফল কিংবা গাড়ির নাম। নজিরবিহীন কৃতিত্বের জন্য জলপাইগুড়ি শহরের পিলখানা পাড়ার বাসিন্দা ওই শিশুকন্যার নাম উঠেছে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে।

    শিভাংশীর বাবা ইঞ্জিনিয়ার। কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। মা পুনম যাদব পাখিরা ও দিদিমা সঞ্জিতা যাদবের কাছেই সারাদিন থাকে ওই শিশুকন্যা। পুনম বলেন, মেয়ে যখন ভালোভাবে কথা বলা শেখেনি, তখন থেকেই ওর পড়ার ঝোঁক তৈরি হয়। আমি কিংবা আমার মা বই নিয়ে ওর সামনে ছবি দেখিয়ে পড়তাম। সেটা দেখেই কিছুদিনের মধ্যে মেয়ে কোনটা, কী চিনে যায়। তখন কোনও পশুর নাম বললে ছবিতে দেখিয়ে দিত ও। তারপর ধীরে ধীরে পশু-পাখি, ফুল-ফল, সব্জি, গাড়ি, রং, শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কিংবা গৃহস্থলীর জিনিসপত্রের নাম সবটাই শিখে যায় মেয়ে। আমরা টুকরো টুকরো ভিডিও করে রেকর্ডসের জন্য পাঠাই। তারপরই সেখান থেকে শংসাপত্র ও মেডেল এসেছে।

    ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর জন্ম শিভাংশীর। পরিবারের দাবি, বর্তমানে সে ২৩ ধরনের পশুর নাম বলতে পারে কিংবা নাম বললে ছবিতে চিনিয়ে দিতে পারে। একই ভাবে ২১ রকমের ফল চেনে। অনেকগুলির নাম বলতে পারে। ২৪ ধরনের সব্জি চেনে, নাম বলে। ১০ রকমের গাড়ির নাম জানা তার। ১০ রকমের পাখি চেনে। ১২টি রঙের নাম বলতে পারে। শরীরের ২০টি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চিনিয়ে দিতে পারে। গৃহস্থলীতে ব্যবহৃত হয় এমন ৩১ রকমের জিনিসের নাম জানা তার। ডাক শুনে বলে দিতে পারে, কোনটি কোন পশু। এ থেকে জেড পর্যন্ত মুখস্থ।  শিভাংশী পাখিরা। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)