প্রসঙ্গত, গত ২ নভেম্বর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাঁর অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সঙ্গীতা রায় নিজেকে তপসিলি জাতির বলে দাবি করলেও। সঙ্গীতার নাম অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দপ্তরের ওয়েবসাইটে তালিকাভুক্ত নেই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের পুজাবকাশকালীন একক বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনকে এই অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে আগামী ৪ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের রেগুলার বেঞ্চে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন । সঙ্গীতা রায়ের মনোনয়ন পত্র বাতিল করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই কেন্দ্রের উপনির্বাচনের কংগ্রেস প্রার্থী হরিহর রায় সিংহ।
মামলাকারীর দাবি, সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রটি তপসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত। সেজন্য সব দলের প্রার্থীরা জাতিগত শংসাপত্র মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় হলফনামায় কী দিয়েছিলেন জানতে চাওয়া হলেও অবজারভার সেটি খতিয়ে দেখতে রাজি হননি। এর আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিতাই পঞ্চায়েত সমিতি থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন সঙ্গীতা। এবং হলফনামায় স্বামীর নাম জগদীশ বর্মা বসুনিয়া লিখেছিলেন। যিনি বর্তমানে কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ।
কিন্তু আসন্ন উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে তিনি যে হলফনামা জমা দিয়েছেন সেখানে স্বামীর নামের পরিবর্তে নিজের প্রয়াত পিতার নাম উল্লেখ করেছেন। কংগ্রেস প্রার্থীর দাবি সঙ্গীতা রায়ের বাবাও সংরক্ষিত শ্রেণীর মধ্যে পড়েন না। সম্পূর্ণ ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বানিয়ে তিনি হলফনামা জমা দিয়েছেন। অবিলম্বে তার মনোনয়ন পত্র খারিজ করা হোক। যদিও হাইকোর্টের এই রায় সিতাই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের ফলাফলে কতটা প্রভাব ফেলবে সেটা কেবল সময়ের অপেক্ষা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)