জমি দখল করে বেআইনি নির্মাণ একমাসের মধ্যে ভাঙার নির্দেশ হাইকোর্টের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৪ নভেম্বর ২০২৪
মেটিয়াবুরুজে জমি দখল করে পাঁচতলা আবাসন নির্মাণের অভিযোগের ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন জমির মালিক। মঙ্গলবার সেই মামলা ওঠে বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। মামলার রায়ে পুরসভাকে নির্মাণ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। একমাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি আদালতের প্রশ্ন, চোখের সামনে অবৈধ নির্মাণ হয়ে গেল, পুরসভা জেনে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে? পুরসভার ১৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেটিয়াবুরুজ থানার অন্তর্গত এন১৪৭/সি বল্লামতলা লেনের ওই জমির মালিক মহম্মদ আতাউল্লা। অভিযোগ, কিছু অসাধু প্রোমোটার তাঁর জমি জোর করে দখল করে পাঁচতলা আবাসন গড়ে তোলে। তা নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর থেকে পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি করেছেন আতাউল্লা। উপায় না পেয়ে তিনি হাই কোর্টে মামলা করেন। আদালতে আতাউল্লা জানান, জমির মিউটেশন তাঁর নামেই। অথচ স্থানীয় কিছু প্রোমোটার জমি দখল করে বেআইনি পাঁচতলা আবাসন তৈরি করে বিক্রি করেছে।
মামলাকারীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, ‘মালিক মহম্মদ আতাউল্লার নামেই জমির মিউটেশন আছে। এবং তিনি নিয়মিত কর দেন। অথচ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তাঁরই জমি দখল করে নেয়। জমির মালিক একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুরসভার কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি তারা। এটা একটা চূড়ান্ত অপব্যবস্থার লক্ষণ। কলকাতা পুরসভা সঠিক সময় ব্যবস্থা নিলে মামলাকারীকে হাই কোর্টে ছুটে আসতে হত না।’
কলকাতা পুরসভার ৩৯৩ ও ৪০০ আইনে বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারত তারা, সেটাও নেয়নি বলে অভিযোগ। পুরসভার পক্ষের আইনজীবী জানান, ‘মেটিয়াবুরুজে ওই পাঁচতলা নির্মাণের ক্ষেত্রে নির্মাণকারীরা কোনও অনুমতি নেয়নি।’ বিচারপতি কৌশিক চন্দ পালটা প্রশ্ন করেন, চোখের সামনে অবৈধ নির্মাণ হল, পুরসভা কি পদক্ষেপ করছে? আইনজীবী জানান, পুরসভা তদন্ত শুরু করেছে।