• দুঃসাহসিক অভিযানের সঙ্গী কুনকি লক্ষ্মীর মৃত্যু, শোকের আবহ বেঙ্গল সাফারিতে
    বর্তমান | ১৭ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: মারা গেল শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কের কুনকি হাতি লক্ষ্মী। একাকি হয়ে পড়ল সঙ্গী উর্মিলা। শুক্রবার রাতে ৬৮বছর বয়সে বেঙ্গল সাফারি পার্কেই মৃত্যু হয় পূর্ণবয়স্ক হাতিটির। বেঙ্গল সাফারি পার্কের কর্মীদের মধ্যে এখন শোকের ছায়া। বেঙ্গল সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বার্ধক্যজনিত কারণেই লক্ষ্মীর মৃত্যু হয়েছে। 


    ২০০৯ সালে উত্তরপ্রদেশের সোনপুর থেকে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে নিয়ে আসা হয়েছিল লক্ষ্মীকে। জলদাপাড়ায় তার  দীর্ঘ সময় কাটে। জলদাপাড়ায় পর্যটকদের সাফারির পাশাপাশি একাধিক উদ্ধার ও তল্লাশি অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল কুনকি হাতি লক্ষ্মী। এরমধ্যে কয়েকটি দুঃসাহসিক অভিযানও রয়েছে। বেঙ্গল সাফারি পার্ক তৈরির পর ২০১৬সাল লক্ষ্মীকে এখানে নিয়ে আসা হয়। তাকে দিয়েই এখানে শুরু হয় হাতি সাফারি। এর পাশাপাশি চলেছে দুঃসাহসিক অভিযান। ২০১৯সালে বেঙ্গল সাফারিতে এনক্লোজার থেকে চিতাবাঘ হারিয়ে যায়। সেই সময়েও সার্চ অপারেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল লক্ষ্মী। কুনকি হাতির মৃত্যু প্রসঙ্গে রাজ্য জু অথরিটির সচিব সৌরভ চৌধুরী বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে লক্ষ্মীর মৃত্যু হয়েছে। কয়েকদিন ধরে হজমের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। প্রাথমিক অনুমান, গ্যাস্ট্রিক থেকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। বনদপ্তরের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে লক্ষ্মীর নাম।


    এই ব্যাপারে বেঙ্গল সাফারির ডিরেক্টর বিজয় কুমার বলেন, লক্ষ্মী শান্ত স্বভাবের হাতি ছিল। খুব মায়া ছিল ওর মধ্যে। সাফারিতেও ওর একটা খুব ভালো ইতিহাস রয়েছে। আমরা সবাই শোকাহত লক্ষ্মীর মৃত্যুতে। এদিকে এই কুনকি হাতির মৃত্যুতে পার্ক কর্তৃপক্ষর গাফিলতি রয়েছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন একাংশ।
  • Link to this news (বর্তমান)