গাইডলাইন থাকলেও কেন প্রতি বছর উচ্চ প্রাথমিকে টেট নয়? এসএসসির জবাব তলব হাইকোর্টের
বর্তমান | ১৭ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: এনসিটিই গাইডলাইন থাকলেও উচ্চ প্রাথমিকে প্রতি বছর কেন টেট হবে না রাজ্যে? তা নিয়ে এবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) কাছে জবাব তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসিন্দা সোমেন সরকার সহ মোট পাঁচ মামলাকারীর দাবি, এনসিটিই গাইডলাইন অনুযায়ী উচ্চ প্রাথমিক স্তরে প্রত্যেক বছর টেট আয়োজন করা বাধ্যতামূলক। এই গাইডলাইন থাকা সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে প্রত্যেক বছর টেট হয় না। তাঁরা প্রত্যেকেই টেটে বসার যোগ্য। অথচ দীর্ঘদিন টেট না হওয়ার কারণে তাঁরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যর সিঙ্গল বেঞ্চে মামলার শুনানিতে মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ প্রাথমিকে শেষবারের মতো টেট অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৫ সালে। তারপর থেকে আর কোনও টেট হয়নি। অথচ প্রত্যেক বছর টেট করার গাইডলাইন রয়েছে। ফলে বহু যোগ্য প্রার্থী বঞ্চিত হচ্ছেন। শুধু এ রাজ্যই নয়, ওই যোগ্য প্রার্থীরা টেট সার্টিফিকেট পেলে অন্য রাজ্যে সেই সার্টিফিকেট দেখিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারতেন। কিন্তু টেট না হওয়ার কারণে সেই সুযোগও তাঁরা পাচ্ছেন না।
মামলাকারীদের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র পাল্টা দাবি করেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে টেট অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালে যে টেট নেওয়া হয়েছিল, তার ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা এখনও চলছে। ওই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না হলে কীভাবে নতুন করে টেট নেওয়া সম্ভব? এছাড়া তিনি মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। বিচারপতি ভট্টাচার্য তখন জানিয়ে দেন, মামলাকারীরা নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে কোনও প্রশ্ন তোলেননি। তাঁদের বক্তব্য, এনসিটিই’র গাইডলাইন থাকা সত্ত্বেও কেন প্রতি বছর টেট নেওয়া হচ্ছে না? এরপরই বিচারপতি নির্দেশে জানান, বিষয়টি চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা আকারে জানাতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। সেই সঙ্গে মামলাটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে রাজ্য যে প্রশ্ন তুলেছে, তা একেবারে নাকচ করে দেয়নি আদালত। আগামী শুনানিতে বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।