বিষ্ণু মাল হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা, কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস ও তার সাত সঙ্গীকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত
আজকাল | ২৫ নভেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিষ্ণু মাল হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা হল সোমবার। কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস ও তার সাত সঙ্গীকে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত। চার বছর আগের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে দোষীদের সাজা ঘোষণা হবে আগামী বৃহস্পতিবার।
ত্রিকোণ প্রেমের জেরে ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর চুঁচুড়া শহরের জনবহুল এলাকা রায়ের–বেড় থেকে বছর তেইশের যুবক বিষ্ণু মালকে বাড়ির সামনে থেকে মোটরবাইকে করে তুলে নিয়ে যায় হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস ও তার সাগরেদরা। সেই রাতেই চাঁপদানি এলাকায় একটি বাড়িতে বিষ্ণুকে নৃশংসভাবে হত্যা করে বিশাল। ধর মুন্ডু আলাদা করে দেহ ছয় টুকরো করা হয় বলে অভিযোগ। খুন করে দেহ টুকরো করার ছবি মোবাইলে তুলে রাখে অভিযুক্তরা। এরপর প্যাকেটে ভরে দেহাংশ শেওড়াফুলি ও বৈদ্যবাটির বিভিন্ন জায়গায় ফেলে দেয়।
এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকা সকল অপরাধীকে পরবর্তী কালে বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশি জেরায় বিষ্ণুর দেহের খন্ডিত অংশ কোথায় কোথায় আছে তার সন্ধান দেয় দুষ্কৃতীরা। পুলিশ বিষ্ণুর সেই খন্ডিত দেহাংশ উদ্ধার করলেও বিশালকে না ধরা অবধি বিষ্ণুর কাটা মুন্ডুর সন্ধান পায়নি।
অবশেষে ক্যানিং এর জীবনতলা থানা এলাকা থেকে ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর কয়েকজনকে গুলি চালিয়ে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে বিশাল। পরে চন্দননগর পুলিশ তাকে নিয়ে আসে চুঁচুড়া থানায়। বিশালই সন্ধান দেয় বিষ্ণুর কাটা মুন্ডু কোথায় ফেলেছে। তারপর বৈদ্যবাটি খালের ধার থেকে প্লাস্টিকে মোড়ানো অবস্থায় মুন্ডু উদ্ধার করে পুলিশ।চুঁচুড়া শহরে এই নারকীয় হত্যার নিন্দায় সরব হয় সব অংশের মানুষ। যতবারই দুষ্কৃতী বিশাল দাস ও তাঁর সাগরেদদের আদালতে তোলা হয়েছে ততবারই সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছে। এই নারকীয় হত্যার দোষীদের ফাঁসির দাবিতে।
সোমবার বিষ্ণু মাল হত্যাকাণ্ড মামলার রায়দানে আদালতের সামনে অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে পোস্টার হাতে জড়ো হয় বহু মানুষ। এই মামলায় এক জন রাজসাক্ষী ছিল। তাকে বেকসুর খালাস করে দেয় আদালত।আদালতের বিচারক শিবশঙ্কর ঘোষ বাকি আট জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সাজা ঘোষণা হবে বৃহস্পতিবার।