প্রকাশ্যে মল মূত্র ত্যাগ করলেই রঘুনাথপুরে দিতে হবে জরিমানা
বর্তমান | ২৮ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর: পুরসভা এলাকার খোলা জায়গায় মলমূত্র ত্যাগ করলে জরিমানা দিতে হবে। বর্তমানে রঘুনাথপুর পুরসভা এলাকায় স্বচ্ছ্বতা বজায় রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুরসভার বাসিন্দাদের একাংশ এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে। সাফাইয়ের কাজে নিযুক্ত সুপারভাইজাররা এই জরিমানা আদায় করবেন। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নোংরা ও আবর্জনা ফেলার জন্য ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারেনি পুরসভা। ফলে বর্তমানে শহরে আবর্জনার স্তূপ হয়ে রয়েছে।
রঘুনাথপুর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৯ অক্টোবর পুরসভা কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কেউ প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ করলে তাঁকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করার জন্য পুরসভার বাসিন্দাদের এগিয়ে আসার আবেদন করা হয়েছে। মূলত পুরসভাকে পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন রাখার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়েছে।
এত কম টাকা জরিমানা কেন? পুরসভার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, জরিমানা মূল বিষয় নয়। পুরসভা এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করতেই এই জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। যাতে নাগরিকরা বুঝতে পারেন, অসতর্কতা ও সামান্য ভুলের জন্য তাঁকে জরিমানা দিতে হল। পাশাপাশি যাঁরা ওই দৃশ্য দেখবেন তাঁরাও সচেতন হবেন। ফলে আগামীতে এমন কাজ করা থেকে তাঁরা পিছিয়ে আসবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে পুরসভা এলাকার ড্রেনগুলিতে প্রকাশ্যে মলমূত্র ত্যাগ করছে। কিছু পরিবার তাঁদের বাচ্চাদের ড্রেনের উপর বসিয়ে মলমূত্র ত্যাগ করাচ্ছে। ফলে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। পাশাপাশি সাফাই কর্মীরা ড্রেন সাফ করতে গিয়ে অসুবিধায় পড়ছেন।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে পুরসভার ১১৮ জন সাফাই কর্মী রয়েছেন। যাঁরা প্রতিদিন পুরসভায় ১৩টি ওয়ার্ড পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করেন। এছাড়া রয়েছে ভিভিডি কর্মী। যাঁরা সাফাইয়ের পাশাপাশি মশা, মাছি নিধনের জন্য কীটনাশক স্প্রে করেন।
রঘুনাথপুর পুরসভার চেয়ারম্যান তরণী বাউরি বলেন, শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতেই জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে শহরবাসীর সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। পুরসভা এলাকায় ইউজ অ্যান্ড পে টয়লেট ছাড়াও সাধারণ টয়লেট রয়েছে। আগামী দিনে আরও ১৩টি ওয়ার্ডে বেশ কয়েকটি টয়লেট তৈরি করা হবে।
রঘুনাথপুর শহর কংগ্রেস সভাপতি তারকনাথ পরামানিক বলেন, তৃণমূল পরিচালিত পুরসভায় এতগুলি চেয়ারম্যান বিদায় নিয়েছে। অথচ আজ পর্যন্ত শহরের নোংরা, আবর্জনা ফেলার জন্য ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারেনি। বর্তমানে রাজ্য সড়কের পাশে শহরের নোংরা, আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। যা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। পুরসভার স্বচ্ছতার বিষয়টি হাস্যকর।