কড়া নিরাপত্তা ও লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মধ্যে দিয়ে শুরু স্নাতকোত্তর পরীক্ষা
বর্তমান | ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: নজিরবিহীন নজরদারি ও নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সোমবার উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে শুরু হল স্নাতকোত্তর ফাইনাল পরীক্ষা। আর জি কর কাণ্ডের জেরে থ্রেট কালচার ও পরীক্ষায় অবাধ কারচুপির অভিযোগ ওঠে। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগ বেশি জোরালো ছিল। পছন্দমতো পড়ুয়াদের ভালো নম্বর সহ পাশ করাতে টেবুলেশন শিটে কারচুপির অভিযোগে সোচ্চার হয়েছিলেন চিকিৎসক,অধ্যাপকদের একটি অংশ। যার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মতো মেডিক্যাল পরীক্ষায় স্বচ্ছতা আনতে রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে নতুন গাইডলাইন তৈরি করে। সেই মতো এবারই প্রথম প্রশ্নপত্র ডাউনলোড থেকে শুরু করে পরীক্ষা হলের লাইভ স্ট্রিমিং হয়। গেটে সারাক্ষণ পুলিস পাহারা ছিল। এখানেই শেষ নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কলকাতা থেকে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে গেটে প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে এই পর্যবেক্ষকরা ভালো করে তল্লাশি করেন। তারপরেই তাঁদের পরীক্ষা হলে ঢুকতে দেওয়া হয়।
ছাত্রীদের তল্লাশির জন্য পরীক্ষা হলের গেটের পাশে অস্থায়ীভাবে একটি জায়গা ঘেরা হয়েছে। যা অতীতে কোনওদিন দেখা যায়নি। এই কড়া নজরদারির মধ্যে এদিন মোট ৫৮ জন পরীক্ষা দেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডিন অব স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার ডাঃ অনুপম নাথগুপ্ত বলেন, রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইডলাইন মতো এদিন পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন বিভাগের মোট ৫৮ জন পরীক্ষা দেন। এর মধ্যে চারজন সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা দিয়েছেন। শান্তিপূর্ণভাবে প্রথমদিনের পরীক্ষা শেষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে, সেই মতো সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। কলকাতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষক পাঠিয়েছে। তাঁরা পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টা আগে হলে প্রবেশের মুখে ছাত্র-ছাত্রীদের তল্লাশি করে দেখছেন। সিট অ্যারেঞ্জমেন্টেও এবার নতুনত্ব আনা রয়েছে। একজন ছাত্রের পাশে অন্য বিভাগের ছাত্রকে বসানো হয়েছে। একই বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি বা কাছাকাছি বসতে দেওয়া হয়নি। দু’জন পরীক্ষার্থীর মাঝে তিন ফুট করে ব্যবধান রাখা হয়েছে।