নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: ত্রিপুরা, বারাসত, মালদহের পর এবার শিলিগুড়ির হোটেলগুলিতেও বাংলাদেশিদের জন্য দরজা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। বিভিন্ন মহলের চাপে রবিবার বৈঠকে বসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্থানীয় হোটেল মালিকরা। এদিকে, ফুলবাড়ি আন্তর্জাতিক সীমান্ত বন্দর দিয়ে বাংলাদেশিদের আনাগোনাও কমেছে। এদিন প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে এপারে এসেছেন মাত্র ১৩ জন। অভ্যন্তরীণ অশান্তিতে জেরবার বাংলাদেশে। ইতিমধ্যে পদ্মাপারে নির্যাতিত সংখ্যালঘু হিন্দুরা। বাড়িঘরের পাশাপাশি মন্দির ভাঙা চলছেই। এমনকী, ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গের মাটিতেও। গ্রেটার শিলিগুড়ি হোটেলিয়ার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সূত্রের খবর, শহরে হোটেলের সংখ্যা ৩০০’র বেশি। যারমধ্যে ২০০ হোটেল মালিক এই সংগঠনের সদস্য। অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, বাংলাদেশিদের রুম ভাড়া না দেওয়ার দাবি বিভিন্ন মহল থেকে জানানো হয়েছে। সেজন্যই এদিন জরুরি ভিত্তিতে আমরা বৈঠকে বসি। ভোটাভুটির মাধ্যমে হোটেলে বাংলাদেশিদের রুম ভাড়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বাংলাদেশিদের রাখার পক্ষে ৩ থেকে ৪ শতাংশ এবং না রাখার পক্ষে ৯৭ শতাংশ মতামত দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশিদের হোটেল ও লজ ভাড়া না দেওয়া, সেদেশের পণ্য বয়কটের দাবিতে মহানন্দার পাড়ে সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সংগঠন শহরের বিধান মার্কেট, বিধানরোড, হিলকার্ট রোডে মিছিল করেছে। বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের কুশপুতুল পোড়ানো হয়েছে। শহরের একাধিক জায়গায় ইউনুস বিরোধী পোস্টারও পড়েছে।
এদিকে, উত্তরবঙ্গ তো বটেই রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলির মধ্যে শিলিগুড়ি অন্যতম। এটা উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। মহানন্দা নদী বেষ্টিত এই শহরের পাশেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ। উত্তরবঙ্গের এই বাণিজ্যনগরীর উপর নির্ভরশীল বাংলাদেশিরা। চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, পড়াশুনা ও ভ্রমণ সহ বিভিন্ন কারণে তাঁরা এখানে নিয়মিত আসেন। নিজস্ব চিত্র