• কাকদ্বীপে প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে জেটিঘাট, নিত্য সমস্যায় এলাকাবাসী 
    বর্তমান | ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: দীর্ঘদিন ধরে বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে কাকদ্বীপের রবীন্দ্র গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ নম্বর পালটের জেটিঘাট। মূল ভূখণ্ড থেকে জেটিঘাটটি এখন প্রায় বিচ্ছিন্ন। পাড়ের দিকে জেটিঘাটের প্রায় সাত ফুট অংশ সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়েছে। বর্তমান ওই ভাঙা অংশে তক্তা পেতে নৌকা যাত্রীরা ওঠা-নামা করছেন। সামনের এই ভাঙা অংশের জন্যই জেটিঘাটটি বর্তমানে নড়বড়েও হয়ে গিয়েছে।


    জানা গিয়েছে, উম-পুনের সময় ঘাটের সামনের অংশটি ভেঙে পড়ে যায়। পাড়ের মাটির বাঁধ থেকে জেটিঘাটটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এরপরই এলাকার বাসিন্দারা কাঠের তক্তা পেতে একটি পাটাতন তৈরি করেন। সেই পাটাতনের উপর দিয়ে হেঁটে গিয়ে বর্তমান জেটিঘাটে উঠতে হয়। কিন্তু প্রচুর মানুষ, বাইক ও ভারি জিনিসপত্র ওই পাটাতনের উপর দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে বেশ কয়েকবার সেটি ভেঙে গিয়েছিল। ফের এলাকার বাসিন্দারাই তক্তা জুড়ে নতুন পাটাতন বানিয়ে জেটিঘাটের ভাঙা অংশ ঠিক করেছেন। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, জেটিঘাটটি মেরামত করার জন্য বহু জায়গায় জানানো হয়েছে। কিন্তু আজও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা কার্তিক মিস্ত্রি বলেন, এই ঘাট দিয়ে রোজ প্রচুর মানুষ যাতায়াত করেন। কাকদ্বীপ ও কলকাতায় যেতে গেলে এই এলাকার বাসিন্দাদের কালনাগিনী নদী পেরিয়ে গঙ্গাধরপুরের স্কুল মোড়ে যেতে হয়। রোজই এই জেটিঘাট থেকে প্রায় ৫০০ জন লোক নৌকা পারাপার করেন। 


    এছাড়াও প্রতিদিন প্রায় ১০০টি বাইককে পারাপার করা হয়। এই এলাকার প্রচুর ছাত্রছাত্রীকে নদী পেরিয়ে ওপারে কমলাকান্ত হাই স্কুলে যেতে হয়। সামনের অংশটি ভেঙে যাওয়ার কারণে এই মুহূর্তে জেটিঘাটটি বিপদজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। দেখা গিয়েছে, কোটালের সময় নদীর জল বাড়লে কাঠের পাটাতনগুলিও ভেসে যায়। তখন সমস্যা আরও বেড়ে যায়।


    এনিয়ে কাকদ্বীপের বিডিও ঋক গোস্বামী বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। সমস্যা থাকলে শীঘ্রই সেটি মেরামত করা হবে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)