বরানগরে ব্রিটিশ জমানার সঙ্কীর্ণ আন্ডারপাসে নাভিশ্বাস যাত্রীদের
বর্তমান | ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: সঙ্কীর্ণ আন্ডারপাস। একটি অটো ঢুকলে উল্টো দিকের অটো বা গাড়িকে অপেক্ষা করতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু থেকে কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে যায় তাতে। ফলে বাধ্য হয়েই যাত্রীদের রেললাইন টপকে যাতায়াত করতে হয়। তাতে আবার দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকে যায়। ইতিমধ্যেই একটি বাসের রুট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বরানগরের এ কে মুখার্জি রোডে ব্রিটিশ আমলের আন্ডারপাসের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের দাবিতে আন্দোলনে নামলেন স্থানীয়রা। প্রথম দিনেই আট হাজার মানুষের সই সংগ্রহ হয়েছে। দাবিপূরণ না হলে আগামী দিনে বৃহৎ আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে।
দমদম ও বেলঘরিয়া স্টেশনের মাঝে অক্ষয়কুমার মুখার্জি রোডের আন্ডারপাস ব্রিটিশ জমানার। এই আন্ডারপাস দিয়ে বরানগরের ১৭, ১৮ ও ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েক লক্ষ মানুষ নিত্যদিন যাতায়াত করেন। এই আন্ডারপাস পেরিয়ে সামান্য এগলেই নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশন। নোয়াপাড়া হয়ে বেলঘরিয়া ও কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে পৌঁছে যাওয়া যায়। এছাড়াও যশোর রোড দিয়ে সরাসরি বিমানবন্দরে পৌঁছনো যায়। সঙ্কীর্ণ আন্ডারপাসে নিত্য ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। এ কে মুখার্জি রোডের সম্প্রসারণ ও উন্নতি হলেও আন্ডারপাস আগের অবস্থাতেই থেকে গিয়েছে। তাই বড় লরি ও বাস যেতে পারে না। ছোট গাড়ি একটি ঢুকলে বাকিদের অপেক্ষা করতে হয়। আগে এই আন্ডারপাস দিয়ে দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত বাস রুট ছিল। আন্ডারপাসের রাস্তা ক্রমে উঁচু হওয়ায় বাস-লরির চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর পাশ দিয়েই গিয়েছে বাগজোলা খাল। বর্ষায় খালে জল বাড়লে আন্ডারপাসেও জল দাঁড়িয়ে যায়। তখন যাতায়াতই করা যায় না। তখন সাধারণ মানুষকে রেললাইন ধরেই যাতায়াত করতে হয়।
অবিলম্বে এই আন্ডারপাস সংস্কার, সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ করার দাবি জানিয়েছেন নিত্যযাত্রীরা। উপকৃত হবেন কয়েক লক্ষ মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে এই দাবি তোলা হলেও কোনও লাভ হয়নি। এবার রাস্তায় নেমে আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছেন বরানগরের মানুষ। বরানগর পুরসভার সিআইসি তথা ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমর পাল বলেন, ১০ হাজার মানুষের সই সম্বলিত দাবিসনদ রেলমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এদিন এ কে মুখার্জি রোডের সাত জায়গায় সই সংগ্রহ অভিযান চালানো হয়। প্রথম দিনেই আট হাজার মানুষ সই করেছেন। আমরা বিধায়ক ও সাংসদের মাধ্যমে রেলমন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপি জমা দেব। দাবিপূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাস্তায় নেমে আমাদের লড়াই চলবে।