খুনের পর দেহ লোপাট করে নিশ্চিন্তে ঘুম! গল্ফগ্রিনে কাটা মুন্ডু উদ্ধারের পরতে পরতে রহস্য
প্রতিদিন | ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪
অর্ণব আইচ ও নিরুফা খাতুন: গল্ফগ্রিনে কাটা মুন্ডু উদ্ধারের ঘটনার পরতে পরতে রহস্য। ধৃত আতিউর লস্করকে জিজ্ঞাসাবাদ করে যা যা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা, তাতে রীতিমতো চমকে উঠছেন তাঁরা। জানা যাচ্ছে, গত ১২ তারিখ মৃত খাদিজাকে সঙ্গে নিয়ে রিজেন্ট পার্কের নির্জন এলাকায় এক পরিত্যক্ত বাড়িতে যায় আতিউর। সেখানে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হয়। মহিলাকে ধাক্কা মারে সে। দেওয়ালে তাঁর মাথা ঠুকে যায়। ব্যাপক আঘাত লাগে। এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে খাদিজার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে আতিউর। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নটার মধ্যে মহিলাকে খুন করা হয়েছে বলে তদন্তকারীদের অনুমান। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও এমনটাই জানানো হয়েছে।
তদন্তকারীরা আরও জানতে পারেন, খুনের পর রাতে খাদিজার দেহ তিন টুকরো করে আতিউর। দেওয়ালে পুট্টি করার ধারালো ধাতব দিয়ে সেই কাজ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে। যে বস্তায় রংয়ের কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে আসত আতিউর, সেই বস্তায় দেহাংশগুলি ভরা হয়। এর পর ভোর তিনটের দিকে বস্তায় ভরা দেহাংশ নিয়ে গিয়ে গল্ফগ্রিন ও রিজেন্ট পার্কে এলাকায় ফেলে দেয়। প্রথমে মুন্ডু আলাদা প্লাস্টিকে মুড়ে বস্তায় ভরে গল্ফগ্রিনে জঞ্জালের স্তূপে ফেলে আতিউর। বাকি দেহাংশ বস্তায় ভরে রিজেন্ট পার্ক কলোনি এলাকায় নির্মীয়মাণ বাড়ির জলাশয়ের কাছে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ভোর তিনটের মধ্যে সমস্ত কাজ সেরে ফেলে ‘খুনি’ আতিউর। তারপর আর সে বাড়ি ফেরেনি। রিজেন্ট পার্কের যে আবাসনে কাজ করত, সেখানেই ফিরে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়েছিল।