জেলা কোর কমিটির বৈঠকে নেতাদের মতবিরোধ মিটিয়ে একসঙ্গে চলার বার্তা
বর্তমান | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: অনুব্রত মণ্ডলের জেল মুক্তির পর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম কোর কমিটির বৈঠক হয়েছিল এক মাস আগে। সেখানে একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছিলেন নেতারা। এবার বসতে চলেছে জেলা কমিটির বৈঠক। রবিবার রামপুরহাটে দলীয় কার্যালয়ে জেলা কোর কমিটির বৈঠক শেষে আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী সংবাদ মাধ্যমে জানান, আগামী ২৯ ডিসেম্বর বোলপুর কার্যালয়ে জেলা কমিটির বৈঠক হবে।
রবিবার বিকেলে আয়োজিত কোর কমিটির বৈঠকে অনুব্রত মণ্ডল, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজল শেখ, মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা সহ সকল সদস্য উপস্থিত হয়েছিলেন। প্রায় একঘণ্টা বৈঠক চলে। সূত্রের দাবি, ১ জানুয়ারি তৃণমৃলের প্রতিষ্ঠা দিবস সহ নানা কার্যক্রম রয়েছে। তার আগে জেলা কমিটির বৈঠক করা জরুরি বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেন। এরপরই ঠিক হয়, আগামী ২৯ ডিসেম্বর বোলপুর কার্যালয়ে সেই বৈঠক হবে। উপস্থিত থাকবেন ৫৮২ জন সদস্য। অন্যদিকে বৈঠকে বিকাশ বলেন, তাঁর বিধায়ক এলাকার অনেকের নামে মিথ্যা কেস দেওয়া হয়েছে। সেব্যাপারে নুরুল ইসলামের (সিউড়ি ২ ব্লক সভাপতি) সঙ্গে তাঁকে কথা বলার জন্য বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কাজল শেখ যাতে নুরুলের সঙ্গে কথা বলেন, সেটাও বলা হয়েছে। অনুব্রত এই নিয়ে নুরুলের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
অন্যদিকে রামপুরহাট শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে সেখানকার কাউন্সিলার ও টাউন সভাপতির মতবিরোধের বিষয়টি আলোচনায় ওঠে। কাউন্সিলার প্রিয়ানাথ সাউ এব্যাপারে দলকে চিঠিও দিয়েছিলেন। এছাড়া শহরের যুব সভাপতি পরিবর্তন নিয়েও দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। দু’টি বিষয়ই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে ফেলার জন্য এলাকার বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ওই ওয়ার্ডের সম্মেলন রয়েছে। সেখানে কোনওরকম অশান্তি যাতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে সব পক্ষকে বলেছেন আশিস।
এদিন বৈঠক শেষে সকল সদস্যকে পাশে রেখে সাংবাদিক সম্মেলনে কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, ১ থেকে ৩০ জানুয়ারি রাজ্য থেকে বেশ কিছু কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। সেই নিয়েই আলোচনা হয়েছে। সংগঠন মজবুত করতে কোর কমিটির সকল সদস্য একসাথে এগিয়ে চলেছি। যা সিদ্ধান্ত হয়েছে তা কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সভাপতিত্বেই হয়েছে। তিনি বলেন, মঙ্গলবার থেকে বাংলার আবাসের টাকা উপভোক্তারা পেতে শুরু করবেন। বিধায়কদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্লক, অঞ্চল ও বুথ সভাপতিদের নিয়ে আলোচনা করা যাতে উপভোক্তাদের টাকা পেতে অসুবিধে না হয়।
এদিকে নলহাটি ২, খয়রাশোল ও দুবরাজপুর ব্লক সভাপতি নেই, সেখানে ফাইভ ম্যান কমিটি দল পরিচালনা করছেন। ওই ব্লকগুলিতে স্থায়ী সভাপতি হিসাবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে? উত্তরে বিকাশ বলেন, ওই ব্লকগুলিতে তো ভালো ফল হয়েছে। ফলে পরিবর্তন করার কোনও দরকার নেই। যদি কোনও পরিবর্তন হয়, সেটা কোর কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই করা হবে। রামপুরহাটে যুব তৃণমূলের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে আশিসদাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রামপুরহাট ১ ব্লকের আয়াস অঞ্চলের সভাপতি নিয়ে মতবিরোধ চলছে? সেই প্রশ্ন করতেই অনুব্রত বলেন, ওখানে যে অঞ্চল সভাপতি আছেন, তিনি ভালো কাজ করছেন।