ধান বিক্রির পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছেন মাত্র ৬২ হাজার জন চাষি
বর্তমান | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: পুরুলিয়া জেলায় সাড়ে ৩ লক্ষের বেশি নথিভুক্ত চাষি রয়েছেন। তারমধ্যে ধান বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট পোর্টালে নথিভুক্ত রয়েছেন মাত্র ৬২ হাজার জন। এত কম সংখ্যক চাষি ধান বিক্রির জন্য নাম নথিভুক্ত করায় জেলাতে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা আদৌ পূরণ হবে কি না, তা নিয়ে ঘোর সংশয় দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার উপরে জোর দিতে চাইছে প্রশাসন।
পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন এবং কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলাতে মোট নথিভুক্ত চাষির সংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ ৭০ হাজার। তার মধ্যে অধিকাংশই ধান চাষি। খুব কম সংখ্যক চাষি রয়েছেন, যাঁরা তৈলবীজ, ডাল শস্য ও সব্জি চাষ করেন। এরমধ্যে মাত্র ৬২ হাজার চাষি ধান বিক্রির জন্য খাদ্যদপ্তরের নির্দিষ্ট পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করেছেন। জেলা খাদ্যদপ্তরের এক আধিকারিক জানান, পুরুলিয়া জেলায় গত বছরেও ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। চলতি বছরে ধান কেনার টার্গেট আরও বেড়েছে। এবারের ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ২ লক্ষ ৭০ হাজার মেট্রিক টন। নিয়ম অনুযায়ী, সিপিসি এবং ভ্রাম্যমাণ সিপিসি অথবা সরকার অনুমোদিত অন্যান্য ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে চাষিদের ধান বিক্রির আগে নির্দিষ্ট পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। ওই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত না থাকলে ধান কিনতে পারবে না সরকার। ওই অধিকারিক আরও জানান, চাষিদের নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া সহজ করার পাশাপাশি নাম নথিভুক্ত করার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে। নাম নথিভুক্ত করার তিনদিনের মধ্যেই ধান বিক্রি করতে পারবেন চাষিরা। তিনি আরও বলেন, চাষিদের সকলের নাম নথিভুক্ত করতে পারলেই একদিকে যেমন ফড়েদের দাপট কমানো সম্ভব হবে, তেমনই সরকারের ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রাও খুব সহজেই পূরণ করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা কৃষিদপ্তরের আধিকারিক সুশান্ত দত্ত বলেন, পুরুলিয়ায় কৃষিদপ্তরে নথিভুক্ত চাষিদের মধ্যে অধিকাংশই ধান চাষ করেন। খুব কম সংখ্যক চাষি তৈলবীজ, সব্জি, ডাল শস্য চাষ করেন। এ বিষয়ে জেলার খাদ্য নিয়ামক জহর আলম বলেন, জেলাতে ধান বিক্রির জন্য নির্দিষ্ট পোর্টালে ৬৬ হাজার জন চাষি নথিভুক্ত রয়েছেন। নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া সরকার অনেক সরলীকরণ করেছে। বেশি সংখ্যক চাষিকে পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করার জন্য জেলাজুড়ে প্রচার চলছে।