ভাঙা সাঁকোয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত ৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের
বর্তমান | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: ডকাইচাঁদ নদীর উপর ভাঙা সাঁকো। ওই সাঁকো দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় অন্তত পাঁচটি গ্রামের বাসিন্দাদের। ছোটদের নিয়ে সবসময় চিন্তায় থাকে এলাকার মানুষ। কারণ তাদেরকেও ওই সাঁকো পেরিয়েই যেতে হয় স্কুলে। দীর্ঘদিন ধরে সেতুর দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকার লোকজন। কিন্তু আজও তা না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের নগর বেড়ুবাড়ি পঞ্চায়েতের ধর্মদেবপাড়া, সোবারহাট, ওমরপুর, বেড়ুবাড়ি সহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি সদর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিনয় রায় বলেন, বিষয়টি শুনলাম। আমরা অনেক কাজই করেছি। যেগুলি হয়নি,তার তালিকা তৈরি করে দ্রুত যাতে ওসব কাজ হয়, তার চেষ্টা করা হবে। জেলা পরিষদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কথা বলব।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন বলেন, এলাকার মানুষের ডকাইচাঁদ নদীর উপর একটা সেতুর দাবি আছে। সেটি পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে। বরাদ্দ পেলেই ওই এলাকায় সেতুর ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা রজবালা রায় বলেন, নদীর ওপারে রেশন দোকান, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র সবই। সবচেয়ে বড় বেরুবাড়ি হাটে যেতে নদী পেরতে হয়। অঞ্চল থেকে একটা সাঁকো তৈরি করে দেওয়া হলেও সেটি বেহাল। ওই সাঁকোর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে রীতিমতো ভয় লাগে। কিন্তু উপায় নেই। কোণপাকরি হয়ে যেতে হলে অন্তত ৭-৮ কিমি ঘুরতে হয়। ফলে বাধ্য হয়ে আমরা ওই ভাঙা সাঁকো দিয়েই নদী পারাপার করি। আরএক বাসিন্দা কামিনীকুমার রায় বলেন, ভাঙা সাঁকো দিয়ে নদী পেরতে গিয়ে আমার পরিবারেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। জনপ্রতিনিধিদের বহুবার সেতুর ব্যাপারে বলা হয়েছে। কিন্তু আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি।